মিষ্টির জগতে বেশ অনেকখানি জায়গা জুড়ে রাজ করে চলেছে সকলের প্রিয় রসগোল্লা। আর তার ঠিক পরেই যার নাম আসে তা হল পান্তুয়া। বাঙালির যেকোনো অনুষ্ঠান আজও অসম্পূর্ণ যদি শেষ পাতে না পড়ে রসগোল্লা আর পান্তুয়া। আর তা যদি হয় হাওড়ার মুন্সিরহাটের ফণিভূষণ কুন্ডুর দোকানের, তাহলে তো সোনায় সোহাগা! অনেককাল আগে থেকেই জগৎবল্লভপুর এলাকায় এই দোকানের বিখ্যাত রসগোল্লা-পান্তুয়ার জুড়ি মেলা ভার। আর এখন প্রায় ১৩৫ বছর ধরে ঠিক একইভাবে দোকানের সুনাম বজায় রয়েছে এই এলাকায়।
![](https://dailynewsreel.in/wp-content/uploads/2023/08/1-min-67.jpg)
শুধু তাই নয়, দেশের সীমা পেরিয়ে বাংলাদেশেও রপ্তানি হয় ফণিভূষণ কুন্ডুর দোকানের রসগোল্লা আর পান্তুয়া। জানলে অবাক হতে হয়, এত বছরেও স্বাদে এবং গন্ধে মিষ্টির মান রয়েছে একেবারে প্রথম দিনের মতই। তাই চার পুরুষ ধরে দোকানের ঐতিহ্য বজায় রেখে দোকানের হাল সামলাচ্ছেন ফণিভূষণ কুণ্ডুর ছেলে ও নাতিরা। ছটাকা ও দশ টাকা মূল্যে রসগোল্লা ও পান্তুয়া কিনতে ক্রেতাদের ভিড় জমে সকাল থেকে রাত অবধি। আর কোনো পালা-পাব্বণ হলে তো কথাই নেই! নিমেষের মধ্যে ফুরোয় মিষ্টি।
![](https://dailynewsreel.in/wp-content/uploads/2023/08/2-6.jpg)
ক্রেতাদের মধ্যেও এই দোকানের মিষ্টি মানে বেশ ভরসার জায়গা। কোনো অনুষ্ঠান বাড়ি হোক বা আতিথেয়তা, যেকোনো ব্যাপারেই ফণি কুণ্ডুর মিষ্টি না হলে তাদের চলে না। তাদের মতে, যতই সময় পার হোক না কেন মিষ্টির মানের সঙ্গে কখনই আপোষ করেননি কুণ্ডুবাবুর মিষ্টির দোকান। তাই বংশ পরম্পরা মেনে আজও মাটির হাঁড়িতে মিষ্টি বিক্রির নিদর্শন পাওয়া যায় তাদের দোকানে। আধুনিক সময়ের প্রতিযোগিতার বাজারে ১৩৫ বছর ধরে ক্রেতাদের তৃপ্ত করা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাই স্থানীয়দের কাছে মিষ্টি মানে এক কথায় ফণিভূষণ কুন্ডুর দোকানের রসগোল্লা আর পান্তুয়া।
Discussion about this post