হালিম একটি জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর খাবার, যা বিভিন্ন ধরনের ডাল, গম ও মাংসের সংমিশ্রণে তৈরি হয়। এটি বিশেষ করে রমজান মাসে ইফতারের জন্য বেশ জনপ্রিয়। সাধারণত মুখরোচক খবর বলতেই আমাদের মনে তেল ঝাল অনেক মশলার সমারোহের কথা মাথায় আসে। কষিয়ে তোলা সেইসব মশলাদার খাবারের পুষ্টিগুণ যে খুব বেশি, তা কিছু বলা যায়না। বরং, সেসব খেয়ে সুস্থ শরীরকে ব্যস্ত করাই হয়ে থাকে। কিন্তু এই হালিম মুখরোচক, আবার পুষ্টিগুণ ও আছে পুরোপুরি!
হালিম রান্নার জন্য প্রথমে গম, মসুর ডাল, মুগ ডাল ও ছোলার ডাল ভালোভাবে ধুয়ে ৪-৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর এগুলো সেদ্ধ করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে, যাতে একটি মসৃণ মিশ্রণ তৈরি হয়। অন্যদিকে, একটি পাত্রে ঘি গরম করে পেঁয়াজ ভেজে নিতে হবে এবং এরপর এতে রসুন-আদা বাটা, গরম মশলা, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে।
এরপর মাংস (গরু বা খাসি) ছোট ছোট টুকরা করে দিয়ে ভালোভাবে ভাজতে হবে, যাতে মসলা মাংসের সাথে ভালোভাবে মিশে যায়। মাংস সেদ্ধ হলে তাতে সেদ্ধ করা ডাল ও গমের মিশ্রণ দিয়ে নাড়তে হবে এবং ধীরে ধীরে অল্প জল মিশিয়ে একটানা নাড়তে হবে, যাতে এটি ঝুরি ঝুরি হয়ে আসে। কিছুক্ষণ পর এতে লেবুর রস ও কাঁচা লঙ্কা কুচি দিয়ে নাড়তে হবে এবং ধীরে ধীরে ঘন হয়ে এলে আঁচ বন্ধ করে দিতে হবে।
গরম গরম হালিম পরিবেশন করার সময় এর উপর ভাজা পেঁয়াজ, ধনেপাতা, কাঁচা লঙ্কা ও আদার কুচি ছড়িয়ে দিতে হয়। কেউ চাইলে ঘি ও লেবুর রস আলাদাভাবে পরিবেশন করতে পারেন, যা হালিমের স্বাদ আরও বাড়িয়ে দেয়। গরম পরোটা, নান রুটি বা সাদা ভাতের সঙ্গে খেলে স্বাদ আরও উপভোগ্য হয়। হালিম শুধু সুস্বাদুই নয়, বরং এটি উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ হওয়ার কারণে শরীরের জন্যও উপকারী।
Discussion about this post