আড়াই প্যাঁচের ইন্দ্রজালের মায়ায় সমগ্র ভূ-ভারত আটকে। সুদূর পশ্চিম এশিয়া থেকে আগত এই রসালো-মুচমুচের জুটির কাছে মাথা নত করেছে বাঙালি জাতিও। উত্তরের ভেটাগুড়ি থেকে দক্ষিণের কেঞ্জাকুড়া, জিলিপির স্বাদের বৈশিষ্ট্য অবিচল থাকলেও আকার-আকৃতির পার্থক্য চোখে পড়ার মত। আর বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়ার জিলিপি? চক্ষু ছানাবড়া! পেল্লায় ইয়াহ্ বড়ো! একদম সাইকেলের চাকার সমান!
তবে কি করে এলো এই মেগা জিলিপি? প্রায় পঞ্চাশ বছরেরও আগে হানুলিয়া গ্রামের মিষ্টি প্রস্তুতকারক মদন দত্ত তৈরী করেছিলেন এই জিলিপি। তারপর তাঁকে অনুসরণ করেই এই মিষ্টি তৈরী করতে থাকে বাকিরাও। ক্রেতা মহলেও ‘কেঞ্জাকুড়ার জিলিপি’ হিসেবে বিখ্যাত হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়িই। তবে আরো একটি কারণ রয়েছে এই দানব জিলিপির আগমনের পিছনে।
জগন্নাথের রথ নয়, বরং উপলক্ষ্য ভাদু পুজো। ভাদু পুজোয় থালা ভর্তি করে মিষ্টি প্রসাদ দেওয়ার রীতি এখানে দীর্ঘদিনের। আর এই থালা ভর্তি মিষ্টিই রয়েছে দানব জিলিপির নেপথ্যে। বিশ্বকর্মা পুজো আর ভাদু পুজো উপলক্ষ্যে কেঞ্জাকুড়ায় প্রতিবছর আয়োজন হয় মেলার। বলতে এই জিলিপিই সেখানে নয়নের মণি। আশপাশের জেলা থেকে রাজ্য, অর্ডারও আসে প্রচু্র। তবে কোভিডের দাপটে সেরকম বেচাকেনা হয়নি দু’বছর থেকে। এই দানব জিলিপির বাজার আবার কবে জাঁকজমকপূর্ণ হবে সেই অপেক্ষাতেই দিন গুনছেন নির্মাতারা।
Discussion about this post