কলকাতার আইকনিক হেরিটেজ দোকানগুলোর মধ্যে ফ্লুরিসকে প্রায় সব বাঙালিই এক ডাকে চেনে। পার্ক স্ট্রিট-এর স্বর্ণযুগের নিদর্শন এখনও বজায় রাখা বেকারির মধ্যে। ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ফ্লুরিস একেবারে প্রথম সারিতেই। ১৯২৭ সালে সুইস দম্পতি, জোসেফ এবং ফ্রেডা ফ্লুরিজ পার্ক স্ট্রিটে ছোট্ট একটি দোকান খোলেন। নাম দেন ফ্লুরিজ। সেই শুরু। তার পর যত দিন গেছে তত কলেবরে বেড়েছে এই বেকারি। এমনকী উত্তমকুমার এবং সৌমিত্র চ্যাটার্জির মতো প্রথম সারির অভিনেতারাও নাকি প্রায়ই ঢুঁ মারতেন এই রেস্তরাঁয়। আর আজ তো কলকাতার পাশপাশি দেশের অন্যান্য শহরেও ফ্লুরিজের শাখা রয়েছে। এখানকার নানা স্বাদের কেক যতটা জনপ্রিয়, ততটাই মুখরোচক চিকেন প্যাটিসের মতো স্ন্যাক্সও।
ফ্লুরিসে সারা বছর ধরেই বিভিন্ন রকম পেস্ট্রি, প্যাটিস, এবং নানারকম টুকিটাকি পাওয়া যায়, কিন্তু ক্রিস্টমাসের সময় তৈরি এনাদের প্লাম কেক, ফ্রুট কেক, প্লেন খ্রিস্টমাস কেক, রাম এন্ড রেসিন কেক প্রচন্ড পরিমাণেই জনপ্রিয়। দামের দিক থেকে একটু উপরের দিকে হলেও, কোয়ালিটির দিক থেকে কোনও দ্বিমত থাকতে পারে না। এছাড়া এখানে পাওয়া যায় বাবা পেস্ট্রি, চকোলেট শর্ট ব্রেড, ডোমিনো সাবলি কুকিজ।
এক কাপ দার্জিলিং চা খেতে খেতে বড় কাঁচের জানলার পাশের টেবিলে বসে পার্ক স্ট্রিটের জনসমাগম দেখতে দেখতে কাটিয়ে দেওয়া যায় মনোরম কিছুক্ষণ। এছাড়া এখানে পাওয়া যায় বাবা পেস্ট্রি, চকোলেট শর্ট ব্রেড, ডোমিনো সাবলি কুকিজ। ১৮ এ পার্ক স্ট্রিটের এই শতাব্দী প্রাচীন বেকারির সঙ্গে কত ঐতিহ্য, কত বিখ্যাত মানুষের নাম জড়িয়ে আছে।
Discussion about this post