দিনের শেষে ‘আহা রে’ মন না বলে এবার মন একটু ‘আহারে’ আসুক। শেষ পাতে হোক বা সকাল সকাল মুখে পড়ুক, স্বাদের সেরা মিষ্টি। আর সে স্বাদেও রাজকীয় নাম বলতে মনে আসে মন্ডা মিঠাইয়ের কথা। শুধু গল্পের বইয়ের পাতায় নয় এ মিষ্টির দেখা মেলে বাস্তবেও। বর্ধমানের গুসকরার কাছে বড় চৌমাথার কাছে দেখা মেলে এই মিষ্টির। পর পর বেশ কিছু মিষ্টির দোকানে অভিনব পদ্ধতিতে তৈরি হয় মন্ডা। কেউ কেউ বলেন মন্ডার জন্ম বাংলাদেশে। আবার কারোর দাবি এ মিষ্টির আবির্ভাব হয় বাঁকুড়ায়। তবে বিতর্ক কি আর স্বাদে স্থান পেতে পারে? একেবারেই নয়। চিনি, ছানা আর দুধের সমন্বয়ে তৈরি এ মিষ্টি স্বাদে একেবারে অতুলনীয়। আকারে গোল এবং চ্যাপ্টা।
মিষ্টি নিয়ে আলোচনার নিউক্লিয়াস বলা যেতে পারে মন্ডাকে। ছানাতে বেশ করে পাক দিয়ে তৈরি হয় মন্ডা। সামান্য আঠালো আর দানাদার এ মিষ্টি মুখে দিলে অমৃত। বর্তমানে খুব বেশি জায়গায় পাওয়া যায় না ঠিকই কিন্তু এ মিষ্টি এক সময়ে ছিল বনেদিয়ানার বৈশিষ্ট্য। আর ঐতিহাসিক এই মিষ্টি বোলপুর যাবার পথে পাবেন বর্ধমানের বড় চৌমাথায়। এখানে মন্ডার বিখ্যাত দোকান আদি মন্ডা মহল। যদিও পাশাপাশি অনেক দোকানই আছে।
শুধু নিজেদের খাদ্য নয় পুজোর কাজেও ব্যবহার করা হয় এই মিষ্টি। মন্ডা তৈরির রেসিপিটা খুব সহজ। তবে এর স্বাদ আসে কায়দার হাত ধরে। গরম আঁচে দুধ আর চিনি পাক দিয়ে শুকিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মন্ডা। তবে কতটা পাক দিতে হবে সেখানেই আসল কৌশল। সাথে রইলো রসদের সঠিক পরিমাণ নির্ণয়। এ বিষয়ে ওস্তাদ হলে তবেই জমবে মন্ডার স্বাদ।
চিত্র এবং তথ্য ঋণ – সাম্য সেনগুপ্ত
Discussion about this post