ডিসেম্বরে শীত মুখ ফেরালেও এখন বাইরে হাড়হিম করা শীতে কাঁপছে বঙ্গবাসী। আর এই শীতে মনে এবং মুখে তৃপ্তি দিতে পারে একমাত্র হরেক রকমের পিঠে। বিকল্প আর কিচ্ছু নেই। নানারকমের পিঠে আর খাঁটি ঝোলা গুড়ের অনবদ্য রসায়নে পুরো বিষয়টা একেবারে জমে ক্ষীর! ক্ষীর প্রসঙ্গে যার কথা না বললেই নয়, তা হল পাটিসাপটা। তবে ক্ষীর ভর্তি পাটিসাপটা তো অনেক খেয়েছেন। এবার একটু নোনতা পাটিসাপটা হলে মন্দ হয় কী? কভি নেহি! বাঙালি তার প্রিয় খাবার পিঠেকে অনন্য করে তুলতে বেশ কাঠখড় পুড়িয়ে থাকে। তবে এবার মাছ আর পাটিসাপটার যুগলবন্দীও কিন্তু পিছিয়ে নেই। একেবারে চিংড়ি মাছের পাটিসাপটা, তৈরি করাও খুব একটা আহামরি সময়ের ব্যাপার তো নয়ই। চলুন জেনে নিই পদ্ধতিটা।
প্রয়োজনীয় উপকরণ হিসেবে লাগবে ময়দা ১ কাপ, চালের গুঁড়ো ১/২ কাপ, নুন পরিমাণ মতো, ডিম ১টি, দুধ ৩/৪ কাপ, মাখন বা তেল ২ টেবিল চামচ, চিংড়ি মাছ ৫০০ গ্রাম। এছাড়া লাগবে পেঁয়াজ কুচি, আদা ও রসুন বাটা, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, গরম মশলা এবং ধনেপাতা কুচি। প্রথমে পাটিসাপটার জন্য একটি জায়গায় ময়দা, চালের গুঁড়ো, নুন এবং ডিম দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। এরপর দুধ দিয়ে ব্যাটারটি একটু ঘন করে নিতে হবে। অন্য একটি পাত্রে মাখন বা তেল গরম করে তাতে কুচিয়ে রাখা পেঁয়াজ ভেজে নিন। ভাজা ভাজা হয়ে এলে তাতে সব বাটা-গুঁড়ো মশলা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।
এবার এই মশলার মধ্যে চিংড়ি মাছ দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন। চিংড়ি মাছ হয়ে এলে তাতে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিন। এবার একটি কড়াইয়ে মাখন বা তেল গরম করে তাতে ব্যাটারটি দিয়ে পাটিসাপটার মত তৈরি করে নিতে হবে। এবার চিংড়ি মাছের পুর দিয়ে এপিঠ-ওপিঠ করে ভালো করে ভেজে নিলেই তৈরি চিংড়ি মাছের নোনতা পাটিসাপটা। যারা মিষ্টি খুব একটা পছন্দ করেন না, তাদের মন ভোলাতে এই পাটিসাপটা একেবারে একাই একশো।
Discussion about this post