বনভোজন, বোরোলিন, মাঙ্কি টুপি আর পিঠে শীতের মেনুর আদর্শ স্টার্টার। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই চলছে নলেন গুড়ের গন্ধ অনুসন্ধান। বাঙালির নাসিকা এ বিষয়ে বড়োই পটু। ওদিকে আবার এক দম্পতিকে নিয়ে শীতে বঙ্গ জুড়ে ভালোই রঙ্গ জোড়ে। নলেনের সঙ্গে নারিকেল! ফলপ্রসূ: চন্দন কাঠ পিঠে।
“আলু তিল গুড় ক্ষীর নারিকেল আর। গড়িতেছে পিঠে পুলি অশেষ প্রকার।।” ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত তাঁর ‘পৌষ পার্বণ’ কবিতায় সেই কবেই বর্ণনা দিয়েছেন। সে যুগ থেকে এ যুগ, কিছু জিনিস এখনো স্থায়ী। চিতই, চন্দন, চুই এর মাঝেও চন্দন বরাবরই রাজকীয়। চন্দন কাঠ পিঠের আভিজাত্যের কাছে হার মেনে যাবে পিঠের রাজ্যের বাঘা বাঘা খেলোয়াড়রা! বরফির মতো দেখতে , খেতেও তেমনি ফার্স্ট ক্লাস! আহা! জিভে জল চলে আসা বাঞ্ছনীয়! নাহ্, চন্দন কাঠ পিঠে প্রস্তুতিতে কোনো কাঠের প্রয়োজন নেই। নীচের উপকরণগুলোই যথেষ্ট! উপকরণ :১/২ কাপ গোবিন্দভোগ চাল, ১/২ লিটার দুধ, ১৫০ গ্রাম পাটালি গুড়, ১/২ কাপ নারকেল কোরা, কাজু বাদাম, ১/২ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো, ২টি তেজপাতা, ১ চামচ ঘি।
গোবিন্দভোগ চাল ৪-৫ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। জল ঝরিয়ে ঝরঝরে হয়ে গেলে গুঁড়ো করে নিতে হবে। অন্যদিকে এলাচ গুঁড়ো আর তেজপাতা দিয়ে দুধ ফোটাতে হবে। ৩-৪ মিনিট পর দুধে চালের গুঁড়ো আর নারকেল কোরা দিতে হবে। এবার পাটালি গুড় দিয়ে দুধ ভালো করে ফোটাতে হবে। গুড় ধীরে ধীরে ঘন দুধের সাথে মিশে চন্দন কাঠের রঙের মতোই রঙ তৈরী করবে। দুধ অনবরত নাড়তে থাকতে হবে। এবার দুধ ঘন হয়ে এলে কাজুবাদাম দিয়ে দিতে হবে। এবার একটা থালায় ঘি ভাল করে মাখিয়ে ছড়িয়ে দিতে হবে ওই গরম মিশ্রণ। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে আপনার থেকেই জমে যাবে। ব্যস, বরফির মতো চারকোনা আকারে কেটে নিলেই তৈরী চন্দন কাঠ পিঠে।
Discussion about this post