ঈদ আনন্দের উৎসব, মিলনের উৎসব। ঈদের আনন্দ শুধু নতুন জামাকাপড় পরা বা আত্মীয়স্বজনদের সাথে দেখা করাতে সীমাবদ্ধ থাকে না। বরং ঈদের খাবারের মাধ্যমেও এই আনন্দকে প্রকাশ করা হয়। ঐতিহ্যবাহী ঈদের খাবার যেমন – বিরিয়ানি, পোলাও, ঝোল, রুটি, মাংস, মিষ্টি – সব মিলিয়ে এদিন তৈরি হয় এক অপূর্ব পরিবেশ। সকলে মিলে রান্না করা, একে অপরের সাথে খাবার ভাগ করে খাওয়া, আত্মীয়স্বজনদের আপ্যায়ন করা – এই সবকিছু ঈদের খাবারকে করে তোলে আরও আকর্ষণীয়। নতুন নতুন খাবার তৈরির মাধ্যমে ঈদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলা যায়। চলুন, এবার ঈদে কিছু রসালো নতুন খাবার তৈরি করে পরিবারের সকলকে এবং আত্মীয়দের খুশি করা যাক। তাই এই দিন আনন্দের সাথে বাড়িতেই রসালো বিফ ভুনা তৈরি করুন, যা বাড়ির সকলকে মুগ্ধ করবেই।
চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক রসালো বিফ ভুনা বানানোর জন্য কী কী উপকরণ লাগবে। প্রথমে নিতে হবে আমাদের প্রধান উপকরণ গরুর মাংস (ছোট টুকরো বা কিমা)। এক কেজি গরুর মাংসের জন্য লাগবে তিন কাপ পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি (এক কাপ), কাঁচা লঙ্কা কুচি, টক দই (১ কাপ)। লাগবে আদা বাটা (দুই চা চামচ), রসুন বাটা (দুই চা চামচ), জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো। লবণ পরিমাণ মতো দিতে হবে। কিছু গোটা মশলাও লাগবে যেমন – লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি ও তেজপাতা। তাছাড়া প্রয়োজন ২ টেবিল চামচ করে তেল ও ঘি। ধনেপাতা ব্যবহার করতে পারেন সাজানোর জন্য।
প্রথমে মাংস ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে মাংস, আদা-রসুন বাটা, টক দই, পরিমাণ মতো লবণ এবং ১ টেবিল চামচ তেল দিয়ে ভালো করে মেখে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর একটি কড়াইতে ঘি দিন। ঘি গরম হয়ে এলে তাতে গোটা মশলা – লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচ ও তেজপাতা দিন। এবার তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে তা বাদামি করে ভেজে নিন। এরপর আদা-রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা কুচি, টমেটো কুচি, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো এবং মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। মশলা কষানো হয়ে গেলে মাংসের মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকুন। তারপর তাতে জল দিয়ে মাঝারি আঁচে ঢেকে দিন। মাংস নরম না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়েচেড়ে দিন। জল লাগলে অল্প অল্প করে দিয়ে দিন। মাংস নরম হয়ে গেলে তাতে গরম মশলা ছড়িয়ে দিন। নামানোর পর আপনি চাইলে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন। এবার গরম ভাত বা রুটির সাথে রসালো বিফ ভুনা পরিবেশন করুন।
Discussion about this post