দেখতে দেখতে শীত আমাদের দরজায় কড়া নেড়েছে। এটুকু বলাই যায় ঘরে ঘরে ধীর গতিতে ধুম পড়ছে শীতের জামা গায়ে দেওয়ার। তবে বাঙালির কাছে সব ঋতুতেই যেটা সবচেয়ে বেশি মাস্ট সেটা হল নতুন নতুন খাবারের রেসিপি। আর শীত মানেই তো কবজি ডুবিয়ে খাওয়া। কথায় আছে শীতের সবজির জুড়ি মেলা ভার! আর এরই মধ্যে বাজারের ব্যাগে দেখা মিলছে পালং শাক, গাজর, বিনস্ আরও কত কী! আমরা তো জানি বাঙালি মানেই মাছে ভাতে। এর নেই কোনও বিকল্প, আর হবেও না বোধ হয়। কিন্তু এই শীতে গরম গরম সুপের গুনাগুন কিন্তু অনেক। আজ সেরকমই একটা সুপের খোঁজ দেব। যা খেতে সুস্বাদু এবং উপকারিও বটে। বাড়ায় ইমিউনিটি পাওয়ার। সবাই অন্ততঃ একবার চেখে দেখতেই পারেন।
‘ক্রিমি পালং সুপ’, এটা তৈরী করতে কী কী লাগছে? আসুন দেখে নেওয়া যাক : কাঁটা গাজর ১৫ গ্রাম, লিকস বা পেঁয়াজ পাতা ৫ গ্রাম, তারপরেই লাগছে গাজর ও সেলারি বুইলন কিউব ৫ গ্রাম, ৩০ গ্রাম মাখন, ৫০ গ্রাম তাজা পালং শাক, ১০০ মিলিগ্রাম ভেজিটেবল স্টক, ৩ গ্রাম নুন, লাগছে ১ গ্রাম গোলমরিচ, এবং ২০ মিলিগ্রাম ফেশ ক্রিম। এই হল রান্নার যাবতীয় উপকরণ।
এবার আমরা দেখে নি এটা আমরা তৈরী করবো কী করে : খুবই সহজ। প্রথমেই যেটা করতে হবে একটি বড় কড়াই বা সসপ্যান ওভেনে বসিয়ে দিতে হবে। হাতের পাশে রাখা মাখন দিয়ে ভালো ভাবে ভেজে নিতে হবে পেঁয়াজ এবং পেঁয়াজ পাতা। ভাজতে ভাজতে তাতেই দিয়ে দিতে হবে গাজর। এই গেল সবে আমাদের প্রথম ধাপ। এরপরে কড়াইতে আমরা দিয়ে দেব পরিমান মতো জল এবং সেলারি কিউব। জলটা ফুটতে শুরু করলে ওভেনের আঁচ কমিয়ে দিতে হবে, তারপর ঢেকে রাখতে হবে অন্তত কুড়ি মিনিট।
এখানে বলে রাখি, খেয়াল রাখতে হবে সবজিগুলো নরম হচ্ছে কিনা, এবং নরম হওয়া পর্যন্ত ফোটাতে হবে। এরপরেই কড়াইয়ে যোগ করতে হবে শীতের বাজারের এদম তরতাজা পালং শাক। দেয়ার পরেই ফুটিয়ে নিতে হবে দুই থেকে চার মিনিট। ফোটানো শেষ হলে পুরো সুপটা একবার ফেঁটিয়ে নিন ব্লেন্ডার দিয়ে, অথবা ব্যবহার করতে পারেন মিক্সিও। তারপর পরিমান মতো নুন আর মরিচ দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে আরেকবার। এবারে ওভেনের আঁচ একটু কমিয়ে ক্রিম দিয়ে মনের মতো করে সাজিয়ে নামিয়ে নিয়ে পরিবেশন করাই যায়। ব্যাস, অনেক কম খাটনিতে গরম গরম এই সুপ মন ভালো করে দিতে পারে আপনার এবং আপনার বাড়ির সক্কলের। তাহলে দেরী কিসের?? ঝটপট বানিয়ে ফেলুন ক্রিমি পালং স্যুপ।
প্রচ্ছদ চিত্র ঋণ – Odd Bangla
Discussion about this post