শীতের নাম শুনলেই জিভে জল আসে গুড়ের স্বাদের কথা ভেবে। খেজুর গুড় শীতের মরসুমকে জ্বালানি দেয় বলা যেতে পারে। আর শীতের গুড়কে ঘিরে ব্যবসা নেহাত মন্দ নয়। সুদূর নদিয়া জেলার পলাশিপাড়ার বান্যাগ্রাম থেকে পুরুলিয়ার কাশিপুরে এসে ব্যবসা জমিয়েছেন মহম্মদ জামালউদ্দিন দফাদার। পেশায় তিনি গুড় ব্যবসায়ী। তবে এ ব্যবসা তার নতুন নয়। প্রায় আট বছর ধরেই জামালউদ্দিন যুক্ত এই ব্যবসার সাথে। জানা গিয়েছে, তার আগে তার বাবার হাত ধরেই পুরুলিয়ায় এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বাবা মারা যাবার পর ব্যবসার হাল ধরেন তিনি। গোটা বছরের প্রায় অর্ধেক সময় ধরে চলে গুড় প্রস্তুতি। প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শেষ দিক থেকে শুরু হয়ে সরস্বতীপুজোর সময় পর্যন্ত চলে খেজুর গুড় তৈরির কাজ। খেজুরের রস বেশ করে জ্বালিয়ে তৈরি হয় খেজুরের গুড়।
আরও পড়ুন বাংলাদেশবাসীর শীতের অন্যতম আকর্ষণ চুয়াডাঙ্গার খেজুর গুড়ের বাজার!
মনের মধ্যে প্রশ্ন উঠতেই পারে, নদিয়া ছেড়ে হঠাৎ পুরুলিয়ায় গুড়ের ব্যবসা কেন? কারণ তো অবশ্যই আছে। শোনা যায়, পুরুলিয়ার দিকে খেজুর গাছের দাম অত্যন্ত কম। আর শুধু গাছের দামই নয় স্বল্প খরচে মেলে জ্বালানিও। এতে সুবিধা প্রচুর। অল্প ব্যয়ে লাভের সম্ভাবনা থাকে ভালোই। গুড় প্রস্তুতির কাজ চলে প্রায় রাত দুটো পর্যন্ত। তবে ব্যবসা পুরুলিয়ায় হলেও সারা বছর জামালউদ্দিন নদিয়ারই বাসিন্দা।
আরও পড়ুন এই ভেজাল দুনিয়ায় নির্ভেজাল গুড়ের বিশ্বস্ত ঠিকানা নদিয়ার মাজদিয়া!
কেবল মাত্র শীতের দিনেই তিনি চলে আসেন অযোধ্যা পাহাড়ের কাছে। জেলার মানুষের কাছে ইতিমধ্যেই তার পরিচিতি বেশ জমে উঠেছে। প্রশাসনিকভাবেও যথেষ্ট সাহায্য পান তিনি। অন্যদিকে জানা গিয়েছে তার এই ব্যবসায় লাভ বছরে প্রায় ১ লাখের কাছাকাছি। পসারও নেহাৎ মন্দ নয় তার। প্রায় ৩০০টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে শুরু হয় গুড় তৈরি। সেক্ষেত্রে ব্যবসার এমন আয় আশা করাই যায়।
Discussion about this post