শীতের সঙ্গে এক অদ্ভুত ভালোবাসার সম্পর্ক এই ‘সিটি অফ জয়’-এর। “এই যে শীতের আলো শিহরিছে বনে, শিরীষের পাতাগুলি ঝরিছে পবনে, তোমার আমার মন খেলিতেছে সারাক্ষণ এই ছায়া-অলোকের আকুল কম্পনে, এই শীত-মধ্যাহ্নের মর্মরিত বনে।” গরমে হাঁসফাঁস করার অধ্যায় শেষে একটু শীতের আমেজ পেতে হা-পিত্যেস করে বসে থাকে এই বাংলার মানুষজন। গড়ের মাঠ থেকে ভিক্টোরিয়া কিংবা শহরের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা পার্কগুলোতেও শীতের ছোঁয়া রঙিন চাদর বিছিয়ে দেয়। আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলে শীত পোশাকের চাহিদা। কলকাতার ওয়েলিংটন স্কোয়ারে শীত পোশাকের সমারোহে চোখ ফেরানো মুশকিল হয়ে পড়ে। অতি স্বল্প দামে পোশাকের চাকচিক্যে শীতের বাজার সেজে ওঠে প্রতি বছর।
১৭৫-৬৫০ টাকার মধ্যে পাবেন মনের মত গরম পোশাক। আবার একটু বেশি দামের গরম পোশাকের খোঁজ করলে তারও সন্ধান মিলবে। বিহার থেকে আসা মহম্মদ রহমাতুল্লা জানালেন, ১২০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা রেঞ্জের মধ্যে মিলবে ব্ল্যাঙ্কেট। সুদূর নেপাল থেকে এসেছেন বিনয় থাপা। তার দোকান ঘুরে জানা গেল ৩৪০ টাকা আপনার পকেটের রেস্ত থাকলেই কিনতে পারবেন বাহারি শাল। ভুটানি জিগমে ওয়াগডুর দোকানেও ঢুঁ মারতে পারেন। তবে খরচ একটু বেশিই পড়বে। তিনি জানালেন তার দোকানে যে কোনও ধরণের শীত পোশাকের দাম শুরু হচ্ছে ৪৫০ টাকা থেকে। আবার ছোটদের পোশাক কিংবা রকমারি টুপি, মহিলাদের শ্রাগ, পশমের টপ, কল্কা আঁকা বা চেক প্রিন্টের চাদর, স্টোল, লং স্যুট, জ্যাকেট সবারই দেখা পেলে এই শীত পোশাকের বাজারে। আর একটু দরাদরি করে কিনতে পারলে দামও আপনার হাতের মুঠোয়।
রকমারি পোশাকের রমরমায় আপনাকে সাজিয়ে তোলার জন্য রয়েছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে পোশাকের সমারোহ নিয়ে আসা বিক্রেতারা। একটা কথা পরিষ্কার, আপনার আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী সব ধরণের চাহিদা মেটানোর ক্ষমতা এই অস্থায়ী তিন মাসের বাজারের রয়েছে। তাই এই হাড়কাঁপানো শীতে গায়ে গরমের সান্নিধ্য পেতে আপনাকে আসতেই হবে ওয়েলিংটন স্কোয়ারের এই গরম পোশাকের মেলায়।
চিত্র ঋণ – চাঁদ কুমার ঘোষ
Discussion about this post