এসেই গেল শীতের মাস। দেখতে দেখতে দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। কয়েকদিনের ঠান্ডা হিমেল আবহাওয়া থাকার পর শীতের কামড় কমিয়েছিল নিম্নচাপ। তবে ফের নামতে চলেছে শীতের পারদ। তার হাত থেকে বাঁচতে ভরসা কেবল গরম কাপড়ই। তাই বাড়ছে শীত-পোশাক কেনার ভীড়। চলতি বছরে করোনা আবহে সে ঝোঁক যেন আরও কয়েক গুণ বেশিই!
আবহাওয়া দপ্তরের মতে এবছর নাকি রেকর্ড শীতের আশঙ্কা! আর সেই শীতের আমেজ গায়ে মাখিয়েই শহর থেকে শহরতলি জুড়ে কেবল শীতবস্ত্রের সম্ভার। তা কিনতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভিড়ও। নামীদামী শপিং মল থেকে শুরু করে মায় ছোট দোকান-পাট, ক্রেতার চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন সকল ব্যবসায়ীই। সোয়েটার, মাফলার, চাদর, জ্যাকেটের পাশাপাশিই লেপ-কম্বল কেনাতেও খামতি নেই জনতার। বরং শীত জাঁকিয়ে বসার আগেই রীতিমতো শুরু হয়ে গিয়েছে তোড়জোড়৷ ফলে বেশ জমে বসেছে গরম পোশাকের বাজার।

বিক্রি-বাট্টা বাড়ায় মুখে হাসি ব্যবসায়ীদেরও। করোনা কালে লকডাউনে প্রভাবে ধসে যাওয়া ব্যবসা কিছুটা হলেও ফিরে পেয়েছেন তাঁরা। বড় বড় প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ফুটপাথের ছোট খাটো দোকানকার, লাভের মুখ দেখে খুশি প্রায় সকলেই। জনসাধারণের ভীড় যত বাড়ছে, ততই চওড়া হচ্ছে তাদের হাসিমুখ। আর্থিক ক্ষতির আঘাতে এ যেন কিছুটা স্বস্তির প্রলেপই!

শুধু বস্ত্র ব্যবসায়ীরাই নন, লক্ষ্মী লাভের মুখ দেখছেন বিভিন্ন ‘স্ট্রিট ফুড’ বিক্রেতারাও। করোনার ভয়কে জয় করেই শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে খাবার বেচা-কেনাও। গরম গরম মোমো, হাক্কা চাউমিন, পকোড়া থেকে শুরু করে পাটিসাপটা-পিঠেও সামিল তাতে। সব মিলিয়ে আসন্ন শীতকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতির ঝুলি সাজিয়েই এবার মেতে উঠেছে রাজ্যের সাধারণ মানুষ।
তথ্য এবং চিত্র ঋণ – পল মৈত্র, সম্পাদনা- মৌসুমী মোদক
Discussion about this post