রসে ডোবানো মিষ্টি মানেই বাঙালির মনে প্রথম জায়গা অধিকার করে আছে বিশ্বসেরা রসগোল্লা। ফলের রাজা আমের মত বাঙালির কাছে অলিখিতভাবে মিষ্টির রাজা রসগোল্লা। আধুনিকতা আমাদের কাছে নানান মিষ্টির সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছে ঠিকই, তবে রসগোল্লার দাপট যেন এ জন্মে কমবার মত নয়। এখনও পর্যন্ত বাঙালির যেকোনো অনুষ্ঠানে শেষ পাতে রকমফের মিষ্টির সাথে রসগোল্লাটা না হলে যেন ঠিক জমে না! মিষ্টি ব্যবসায়ীরাও তেমন ঝোপ বুঝে কোপ মারার মত বিভিন্ন ফ্লেভারের রসগোল্লা নিয়ে আসছে বাজারে। আর সেইসঙ্গে আকাশ ছোঁয়া দাম তো আছেই।
কিন্তু ভাবতে পারেন অগ্নিমূল্য এই বাজারে মাত্র তিন টাকার রসগোল্লার কথা? হ্যাঁ মশাই ঠিকই শুনছেন, নরম তুলতুলে রসগোল্লার যোগান প্রতি পিসে মাত্র তিন টাকা! আর যোগান দিচ্ছেন হাওড়ার বাগনানের হরিনারায়ণপুর এলাকার বাজারের ময়রা তপন সামন্ত। তার কথায়, গত কয়েক বছর ধরে তিন টাকায় শুধু রসগোল্লাই নয়, পান্তুয়া ও ল্যাংচা তৈরি করে চলেছেন তিনি। এতেই তাঁর বেশ লাভ হচ্ছে। আরও জানিয়েছেন যে তার দোকানে তিনি একাই একশো৷ জল আনা থেকে মিষ্টি তৈরি করা, সমস্ত কাজই তাঁর নিজের হাতে করা।
সন্ধ্যে হলেই মিষ্টিপ্রেমীদের উপচে পরা ভিড় দেখা যায় তপন ময়রার দোকানের সামনে। আজ প্রায় পঁচিশ ত্রিশ বছর ধরে এই দামেই সবার মিষ্টিমুখ করিয়ে আসছেন তপন বাবু। তার মতে অতিরিক্ত লাভের আশা না করে যৎসামান্য বাজার করার পয়সা উঠলেই তিনি খুশি। এই বাজার দর বৃদ্ধিতেও তিনি স্রোতে গা না ভাসিয়ে যেভাবে খদ্দের দের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন তা শতবার প্রশংসার দাবি রাখার মতই বটে।
Discussion about this post