পেশায় তিনি শিক্ষিকা। কিন্তু তিনি ঠিক কী শিক্ষা দেন? অবলা প্রাণীর ওপর অত্যাচার করা! সঙ্গে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া। আজ্ঞে হ্যাঁ! পড়তে বিন্দুমাত্র ভুল হয়নি আপনার। ঠিক এটাই করেছেন শিক্ষিকাটি। এবং তাতে সামিল করেছেন নিজের স্কুল পড়ুয়া ছেলেটিকেও। সম্প্রতি ফেসবুক-দুনিয়ায় ভাইরাল সেই ছবি।
![](https://dailynewsreel.in/wp-content/uploads/2020/07/107103633_292029041948837_949037293299057117_n.jpg)
গত সোমবার ফেসবুকে দুটি ছবি সহ একটি পোস্ট শেয়ার করেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে একটি পায়রার ডানা দুটি সজোরে চেপে ধরে আছে একটি বাচ্চা ছেলে। পায়রাটি প্রাণপণ চেষ্টা করেও নিজেকে ছাড়াতে পারছে না। ছবিটির ওপরে ইংরাজি হরফে হিন্দিতে কিছু কথা লেখা। যা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, বিনা নিমন্ত্রণে আসা অতিথিদের নাকি এভাবেই শায়েস্তা করতে হয়। যাতে এরপর থেকে কারুর বাড়ি যাওয়ার আগে অনেক ভেবে চিন্তে তারপর যেন সে যায়। পোস্টটি দেওয়া মাত্রই হু হু করে ভাইরাল হয় সেটি। নেটিজেনদের নজরে আসলে এই ঘটনার তীব্র সমালোচনাও করেন বেশ কিছুজন। তাদের উত্তরে কমেন্টে সেই শিক্ষিকা অভিযোগ আনেন, পায়রাটি অন্য জায়গা থেকে উড়ে এসে তাদের বারান্দা নোংরা করছিল। নতুন বসানো চারাগাছের পাতাগুলি নাকি নষ্টও করে দিচ্ছিল পায়রাটি। এমনকি তিনি এও বলেন যদি তাঁর কাছে বন্দুক থাকত, তাহলে তিনি গুলি করে মেরে ফেলতেন পায়রাটিকে।
![](https://dailynewsreel.in/wp-content/uploads/2020/07/107101326_2617678731820701_3736569206279779315_n.jpg)
ঘটনাটির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে কাজটির ভর্ৎসনা করেন বহু ফেসবুকবাসীই। শিক্ষিকাটির কমেন্টের সমালোচনায় প্রশ্নও তোলেন তারা। নিজে একজন শিক্ষিকা হয়ে এমন অমানবিক কাজ কীভাবেই বা করতে পারেন তিনি? আগামী প্রজন্মকে ঠিক কী ধরনের শিক্ষা দিয়ে যাবেন? আদৌ কি তিনি নিজে শিক্ষিত? যদি তাই হন, এক অবলা প্রাণীর প্রতি এমন অত্যাচারই বা কেন? এইসব প্রশ্নেই এখন মুখর সারা ফেসবুক। যদিও এখনও অবধি একটিরও উত্তর মেলেনি। তবে প্রশ্নগুলি কিন্তু রয়েই গেল।
Discussion about this post