সকালের ব্রেকফাস্ট হোক বা সন্ধ্যের জলখাবার, চটজলদি স্ন্যাকস জাতীয় খাবারের চাহিদা বরাবরই বেশি। আর স্ন্যাকস হিসেবে সবথেকে জনপ্রিয় বোধহয় স্যান্ডউইচ-ই। বানানোর তেমন কোনও ঝামেলা নেই আবার খেতেও বেশ সুস্বাদু। তাছাড়া স্যান্ডউইচ তৈরি করতে কোনও তেল ব্যবহার করা হয় না। ফলে চটজলদি খাবার হিসাবে এটি পছন্দ করেন বহু মানুষই। বাচ্চাদের টিফিন বক্সই হোক বা বড়দের লাঞ্চবক্স, স্যান্ডউইচের দেখা পেলে মুখে হাসি ফুটবে না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। তবে চিরাচরিত কিছু স্যান্ডুউইচ তো আমরা সবাই প্রায় খেয়েই থাকি। এই তথাকথিত পদ্ধতির বাইরের বেরিয়ে কলকাতার শমিতা হালদার বানিয়ে ফেলেছেন এক নিত্য-নতুন স্যান্ডউইচের রেসিপি। নাম- মিনি স্যান্ডউইচ। তবে একঝলক দেখলে এটি স্যান্ডউইচ না ছোট্ট কোনও বই, তা নিয়ে দ্বন্দে পড়তেই পারেন যে কেউ! এ স্যান্ডউইচ খেতে যেমন সুস্বাদু, দেখতে ঠিক ততটাই সুন্দর। আসুন আজ জেনে নেওয়া যাক সেই রেসিপিই।
মিনি স্যান্ডউইচ বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ হিসাবে লাগবে- টর্টিলা র্যাপ, হ্যাম এবং হোয়াইট চিজ শিটস। এছাড়া সাজানোর জন্য প্রয়োজন রঙিন কিছু ফুড কালার ও তুলি। তবে টর্টিলা র্যাপ না পাওয়া গেলে ময়দার রুটি সেঁকে নিলেও অসুবিধা নেই।
পদ্ধতিঃ– প্রথমেই ওই র্যাপ বা রুটিগুলিকে ৫” চওড়া আর ৪” লম্বা করে কেটে নিতে হবে। ওই সাইজের থেকে আরেকটু ছোট করে কাটতে হবে হ্যাম আর চিজ শিটস। এরপর রুটির একদিক ভাঁজ করে নিয়ে হ্যাম ও চিজ পরপর চারটে স্তরে সাজিয়ে রুটির ভিতরে ভরে দিতে হবে। সব শেষে জেল ফুড কালার দিয়ে তুলি ব্যবহার করে স্যান্ডউইচগুলির গায়ে ছবির মত করে আঁকতে বা লিখতে পারেন।
নতুনত্বে ভরপুর এই স্যান্ডউইচ বানাতে সময় লাগে খুবই কম। আর স্বাদও চিরাচরিত স্যান্ডউইচের থেকে বেশ আলাদা এবং অন্যরকমও বটে। তাহলে আর দেরি কিসের! এই লকডাউনে বাড়িতে বসে বানিয়েই ফেলুন এই চটজলদি মিনি স্যান্ডউইচ। আর বাড়ির বাকিদের দিয়ে দিন এক নতুন সারপ্রাইজ!
Discussion about this post