এ যেন ঠিক জীবনের এক অনন্য ভালো লাগার মুহূর্ত! বুঝে ওঠার আগেই গায়েব। শীত কাল, যাকে উপভোগ করার সময় খুবই স্বল্প। তবে ওই যে, বাঙালির “বারো মাসে তেরো পার্বণ।” আর হেমন্তের প্রাণ হলো নবান্নে ওঠা নতুন চালের হরেক রকম পিঠে-পুলি। পিঠের জুটি আবার নতুন গুড়। পুরো স্বাদে আহ্লাদে ব্যাপার। সামনেই মকর সংক্রান্তি। পিঠে খাওয়ার এই তো সময়। আর পিঠে-পুলি বললেই কথাটা উল্টো ভাবে খেয়ালে আসে। অর্থাৎ কিনা পুলি পিঠে। শীতের আমেজে প্রতি বাঙালির ঘরে ঝোলা গুড়ের সাথে জাস্ট জমে যায়। তবে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে তৈরি করা হয় পুলি পিঠে।
পুলি পিঠে বানানোর উপকরণ হিসেবে লাগবে চালের গুড়ি, নুন, নারকেল কোড়া আর গুড়। গরম জলে পরিমাণ মতো নুন ফেলে তা নিয়ে চালের গুড়িটাকে ভালো করে মেখে নিতে হবে। অন্যদিকে নারকেল কোড়ার সাথে গুড় মিশিয়ে পুরটা তৈরি করে রাখতে হবে। এবার মাখা চালের গুড়ি থেকে একটু একটু করে হাতে নিয়ে তাকে গোল বাটির মতো বানিয়ে তাতে পুর ভরে দু’পাশ জুড়ে মুখটা আটকে দিতে হবে। এভাবে তৈরি হবে পুলি। তবে এখানেই শেষ নয় এই পুলি গুলোকে গরম জলে ফুটিয়ে তবেই ঝোলা গুড় সহযোগে পরিবেশন করা যাবে।
তবে পুলি অনেক ধরণের হয়। ভাপিয়ে নিলে ভাপা পুলি, দুধে ডুবিয়ে নিলে দুধ পুলি ইত্যাদি। তবে শীতের দিনে গরম গরম নয় বরং ঠান্ডা হলেই বেশি ভালো লাগে এই পিঠে। শীতের সন্ধ্যে হোক বা সকালের টিফিন পিঠে হলে মন্দ হয় না। আর এ পিঠে বাঙালির পেটে ঠিক সয়ে যায়।
Discussion about this post