মাত্র দু’টাকাতেই টাকাতেই পেয়ে যাবেন এক কাপ চা আর একটি পান। এই মন্দার যুগে দু’টাকাতে এতকিছু শুনে, বিশ্বাস হচ্ছে না নিশ্চয়ই। শুধু শোনা নয় চোখের দেখা দেখতেও পাবেন বাংলাদেশের নাটোর জেলার বাগাতিপাড়ার এক চা দোকানে। বিক্রেতা রজব আলী ওরফে রজব আলী লালন।
১৯৯১ সাল থেকেই হাত পাকিয়েছেন ব্যবসায়। একরকম ভালোলাগা থেকেই নামা এই ব্যাবসায়। তখন অবশ্য এই দোকানে ৫০ পয়সায় ১ কাপ চা আর ১ টা পান পাওয়া যেত। এরপর ১৯৯৩ সালে চা ও পানের দাম এসে দাঁড়ালো ১ টাকায়। সেই থেকে আজও চলছে এই ১ টাকার চায়ের দোকান। দোকানের আয় থেকেই তিনি স্ত্রীর মাস্টার্স পড়ার খরচও জুগিয়েছেন। সহযোগিতা পেয়েছেন এলাকাবাসীর তরফেও। দোকানটি বিনা ভাড়াতেই চলছে এতকাল। গ্রাম জুড়ে এই চায়ের কদরও নেহাৎ কম নয়। আশপাশের গ্রামের লোকও ভিড় করে ওই গুমটিতে। প্রতিদিন কম করে ১০০০ কাপ চা বিক্রি হয়েই থাকে। এখনও অবধি সর্বোচ্চ বিক্রির রেকর্ড ২৫০০ কাপ। পাশাপাশি রোজ বিক্রি হয় আবার প্রায় ১৫০০টা পান।
রজব আলী আজ স্বপ্ন দেখেন এ.সি রুমে বসিয়ে ১ টাকার চা খাওয়াচ্ছেন তাঁর গ্রামবাসীকে। উপজেলা নির্বাহী মেজিস্ট্রিটের সুপারিশে ভালো চাকরির সুযোগ এলেও অস্বীকার করেন তিনি। জীবনের শেষদিন অবধি এই ব্যবসাতেই থাকতে চান রজব আলী। তাই ব্যবহার করেন বাজারের সবচেয়ে দামী চা পাতি। অন্যান্য দোকানের চেয়ে রজবের দোকানের চা অনেক বেশি সুস্বাদু। তাঁর দোকানটির মোড়ের নামও হয়েছে এখন ১ টাকার মোড়। দোকানের সামনে লোকের উপচে পড়া ভিড় ও মানুষের ভালোবাসায় উৎসাহিত হয়ে সামনে দিকে একটু করেই এগিয়ে চলছেন রজব আলী।
সম্পাদনা – অনন্যা করণ
Discussion about this post