দেশ জুড়েই ক্রমেই বাড়ছে করোনা আতঙ্ক। মহামারীর জেরে রুটি-রুজি হারিয়ে বর্তমানে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ। কিন্তু তার মাঝেও জীবন-জীবিকার টানে ধীরে ধীরে কাজে ফিরছেন সাধারণ মানুষ। করোনা সঙ্কটের জেরে ক্রমেই যেন আবছা হয়ে আসছে উৎসব মুখর ভারতের প্রতিচ্ছবি। এই তীব্র মন খারাপ, হতাশার মাঝেও মনে খুশির আমেজ ধরে রেখেছেন উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষেরা।
করোনাকালেও বর্তমানে দেশের সবচেয়ে সুখী রাজ্য হিসাবে সবার উপরে জায়গা করে নিয়েছে মিজোরাম। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশও শীর্ষ দশে স্থান পেয়েছে। সদ্য প্রকাশিত ইণ্ডিয়া’স হ্যাপিনেস ইনডেক্স মোতাবেক এই তথ্য জানা যাচ্ছে। গুরগাঁওয়ের ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক রাজেশ কে পিলানিয়াই বর্তমানে এই ‘সুখ সূচক’ তৈরি করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, মার্চ থেকে জুলাইয়ের মধ্যেই মূলত এই সমীক্ষা চালানো হয়। একাধিক রাজ্য থেকে দেশব্যাপী এই সমীক্ষায় অংশগ্রহন করেন প্রায় ১৬৯৫০ জন। এই হ্যাপিনেস ইন্ডেক্স তৈরিতে মোট ছটি বিষয়ের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে বলেও খবর। উপার্জন, পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক, শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য, সমাজিক উদ্বেগ, ধর্মীয় অথবা আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি যাচাই, মানসিক খুশির উপর করোনার প্রভাব সহ বেশ কিছু বিষয়কে আধার করেই চলে সমীক্ষা।
এই তালিকায় মিজোরামের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাঞ্জাব। তারপরেই রয়েছে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। অন্যদিকে বড় রাজ্যের বিচারে পাঞ্জাব, গুজরাট এবং তেলেঙ্গানা শীর্ষ তিন রাজ্য হিসাবে উঠে এসেছে। উল্টোদিকে তুলানমূলক ভাবে ছোট রাজ্য হিসাবে শীর্ষ স্থানে রয়েছে মিজোরাম, সিকিম ও অরুণাচলপ্রদেশ।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে আন্দামান-নিকোবর, পন্ডিচেরী ও লাক্ষা দ্বীপ। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে কোনও ব্যক্তির মানসিক সুখ নির্ধারণে বৈবাহিক অবস্থা, বয়স, শিক্ষা এবং আয় সরাসরি সম্পর্কিত। অন্যদিকে এটাও পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে দেশব্যাপী বিবাহিত মানুষদের তুলনায় অবিবাহিতরা অনেকটাই বেশি সুখী।
Discussion about this post