রোজকার অত্যাচার-লাঞ্ছনা-বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হন বহু নারী। আর তাই নারী সুরক্ষায় রয়েছে নানা আইন। কিন্তু নারীই যদি অত্যাচারী এবং ঔদ্ধত্যে ভরপুর হয়, তার বেলা? মহিলা মানেই নির্দোষ আর অপরাধের ভাগী একমাত্র পুরুষ, এ ঘটনাও অনেক সময় মিথ্যে হয়ে যায়। তেমনই এক মহিলার ঔদ্ধত্যের কারণে ধিক্কার জানাল কলকাতা।
গড়িয়াহাটের রাস্তায় হতদরিদ্র এক পথশিশু পেটের দায়ে ধূপ বিক্রি করে। ১০ টাকার ওই ধূপ প্যাকেট বেচেই তার রোজ পেট চলে। পথযাত্রীদের পাশে গিয়ে অনুরোধ করে বেড়ায় সে ধূপ কেনার জন্য। কখনও বা দামী প্রাইভেট কারের বন্ধ কাঁচের জানালায় টোকাও মেরে চলে একনাগাড়ে। কিন্তু এইভাবে রোজকারের মূল্য যে একদিন তাকে এভাবে চোকাতে হবে তা হয়তো সে ভাবেনি। তেমনই গাড়ীর কাঁচে টোকা মারে ছেলেটি। গাড়ীর মধ্যে থাকা আধুনিকা ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে সপাটে ছেলেটির গালে জুতো কষায়। প্রতিবাদে ছুটে আসে রাস্তার পথচলতি মানুষ। খবর পেয়ে হাজির হয় পুলিশ। ক্ষুব্ধ জনতা ছেলেটির সাথে ঘটা অন্যায়ের শাস্তির দাবী জানায়। গড়িয়াহাট থানায় চলে মীমাংসা। পুলিশের চাপে মহিলাটি ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন ওই ছেলেটির কাছে।
যদিও অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে এটাই কি ওই পৈশাচিকতার যোগ্য শাস্তি? ছেলেটি ছিল অসহায়, নিরীহ। তার না আছে পেটের ভাত আর না আছে প্রতিবাদের গলা। তার জন্যই কি এত সহজে সেই অভদ্র মহিলাটির শাস্তি শুধুই ক্ষমা চাওয়া?
চিত্র ঋণ – অভিষেক রায়
Discussion about this post