বছর শেষে উষ্ণতার পারদ নিচের দিকেই। শীতের পরশ নিয়ে দরজায় হাজির বড়দিন। আর বড়দিন মানেই কেক উৎসব। ব্রিটিশদের সান্নিধ্যেই এককালে বাংলায় কেকের আবির্ভাব ঘটেছিল। তারা বিদায় নিয়েছে সেই কবে কিন্তু রয়ে গিয়েছে ঐতিহ্য। আজ কলকাতার একটা সুপ্রাচীন বিখ্যাত বেকারি সম্পর্কে জানা যাক।
ইম্পিরিয়্যাল বেকার্স অ্যান্ড কনফেকশনার্সও বয়েসে দেড়শোর কাছাকাছি। এই দোকানটিও সুনাম অর্জন করেছে তাদের কেকের কারণেই। শেখ আসিফ রহমান, ইম্পিরিয়্যাল বেকার্স অ্যান্ড কনফেকশনার্সের বর্তমান কর্ণধার । শীতকাল আর কেক-এই দুয়ের যে এক গভীর মেলবন্ধন রয়েছে পাঁচ পুরুষ ধরে । এটাই এখনও পর্যন্ত জানা যায়। এরপরই আসিফ নিজের পরিবারের অতীতে ফিরে যান। ইম্পিরিয়্যাল প্রতিষ্ঠা করেছিল আসিফের ঠাকুমার বাবা, ১৮৭৪ সালে। আরও জানা যায় যে আসিফের ঠাকুরদা খুব ভালো কেক বানাতেন বলে তাঁর ঠাকুমার বাবা ঠাকুরমার সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেন। সেই বিয়ের পর থেকে রহমান পরিবার বংশপরম্পরায় ইম্পিরিয়্যালের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
বড়দিন উপলক্ষে ইম্পিরিয়্যাল স্পেশাল কিছু কেক তৈরি করে। যার মধ্যে থাকে ওয়ালনাট, চিজ কেক, লাইট ফ্রুট কেক, রয়্যাল কাজু কেক, প্লাম কেক, আমন্ড স্পেশাল কেক। আসলে কলকাতা জানে সব ধর্ম আর ঐতিহ্যকে সম্মান করতে। ঐতিহ্য আর আভিজাত্যতার সঙ্গে খাবারকে ঘিরে কলকাতার মানুষজন চিরকালই নস্টালজিক।
চিত্র ঋণ – https://www.eazydiner.com/
Discussion about this post