বন্ধুত্বে ছন্দপতন হলেও বন্ধুকে কি সহজে ভোলা যায়? নি:সন্দেহে বলছি, যায় না। করোনা মহামারি কেড়ে নিয়েছে বহু প্রাণ, বহু হাসি, বহু ভালোবাসা। ঠিক যেমন ‘দেশবন্ধু মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’কে কেড়ে নিয়েছে লকডাউন। হাওড়া ব্রিজ থেকে নেমে যেতে হতো একটু বাঁ দিকে। মহাত্মা গান্ধী রোড যেখানে শুরু হচ্ছে ঠিক সেখানেই। দোকানটি বন্ধ হয়ে গেলেও রয়ে গেছে তার সাইনবোর্ডটি। এখনও গেলেই দেখতে পাবেন। এই মিষ্টান্ন ভাণ্ডার বিখ্যাত ছিলো গাওয়া ঘিতে তৈরি অপূর্ব সব মিষ্টির জন্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই বিখ্যাত মিষ্টিগুলি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিলো। বড়বাজারে বাজার করতে গেছেন অথচ দেশবন্ধু মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে যাননি এমন মানুষ খুব কম আছেন।
এই মিষ্টান্ন ভাণ্ডার বিখ্যাত ছিলো গাওয়া ঘি তে তৈরি অপূর্ব সব মিষ্টির জন্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই বিখ্যাত মিষ্টিগুলি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিলো। দোকানটির গাওয়া ঘি এর লুচি কচুরি আর রাবড়ি যেন অমৃত ছিলো। খেলে মনে হতো, “আহা কি খাইলাম! জন্ম জন্মান্তরেও ভুলিবো না।” তবে এসব এখন অতীত। দিনটা ছিলো ২১ মার্চ, ২০২০! করোনা কলকাতায় ঢুকে পড়েছে। সব কিছু ছারখার করে দিচ্ছে। বাদ গেল না এই মিষ্টান্ন ভাণ্ডারটি।
লকডাউনের পর আর খোলেনি দোকানটি। কি অদ্ভুত না? কেমন এক নিমেষে সবটা পালটে গেলো? কেউ ভেবেছিলো কোনোদিন যে এমনটাও হতে পারে! ভাবনার বাইরে ছিলো বলেই তো ঘটনাটি ঘটেছে। বহু মানুষের কাছে ‘দেশবন্ধু মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’ ছিলো বন্ধুরই মতো। বন্ধু চলে গেলে তো দু:খ হবেই। এখনও ওই রাস্তা দিয়ে গেলে বন্ধ দোকান দেখে চোখ ছলছল করে অনেকেরই। হওয়াটাই তো স্বাভাবিক তাই না?
Discussion about this post