এই মূহুর্তে মানব সভ্যতার সবথেকে বড় শত্রু কোভিড-১৯ ভাইরাস। করোনা আতঙ্ক সঙ্গে নিয়েই দিন কাটছে সবার। সবার মনে এখন একটাই প্রশ্ন, ঠিক কবে বিদায় নেবে বিশ্বব্যাপী এই মহামারী? বেশ কিছুদিন ধরেই এই নিয়ে চলছে গবেষণা। গবেষকদের একাংশ এও দাবী করেন, গরমকালেই নাকি বিদায় নিতে চলেছে করোনা। ফলে প্রায় সকলেই চাইছিলেন এবার তীব্র গরম পড়ুক। গরমের দাপটে ধ্বংস হয়ে যাক এই ভাইরাস। তবে সে আশায় কার্যত জল ঢেলে দিয়ে করোনা আতঙ্ক উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। তবে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক গবেষণা কিছুটা আশার আলো দেখিয়ে গেল। ঠিক কবে কমতে পারে করোনার দাপট – গবেষণায় উত্তর মিলল এই প্রশ্নেরই।

গবেষণাটির মূল উদ্যোক্তা ছিলেন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং অধ্যাপক মাইকেল ওয়ার্ড। তাঁর কথায়, ভবিষ্যতে একটি ‘সিজনাল ডিসিজ’ অর্থাৎ মরসুমী রোগ হিসেবে দেখা দিতে চলেছে করোনা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে আর্দ্রতা ১% কমলে ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় প্রায় ৬%। কারণ আর্দ্রতা বেশি থাকলে হাঁচি বা কাশির সঙ্গে থুতু বা কফের যে কণা বেরোয় তা হবে ভারী এবং বড়। ফলতঃ সেটির খুব বেশি দূরে ছড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম। সহজ ভাষায় তীব্র শীতে বাড়বে করোনার দাপট। কমবে একমাত্র আর্দ্রতা বাড়লেই।

তবে এই গবেষণা দক্ষিণ গোলার্ধের জন্য ঠিক কতটা প্রযোজ্য তা এখনও জানা যায়নি। মাইকেল জানান, উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশগুলিতে শীতকালেই বেড়েছিল করোনার প্রকোপ। তবে অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ গোলার্ধে হওয়ায়, গ্রীষ্মের শেষে করোনা ঠিক কী আচরণ করে সেটাই জানা এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে ভাইরাসের প্রকোপ কমার ক্ষেত্রে স্থানীয় আবহাওয়া ঠিক কতটা ভূমিকা পালন করছে সেই ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া যাবে।
Discussion about this post