এই ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে ঠিক পৌঁছে যাব সেই চাঁদের পাহাড় দেখতে পাব” না চাঁদের পাহাড় নয়। বরফে ঢাকা সান্দাকফুর পাহাড়টাই দেখে নিলো চার বছরের এক জোড়া ছোট্ট পা। পায়ে হেঁটেই সান্দাকফু পৌঁছে গেল কলকাতার ছোট্ট সৌজন্য কুমার। কীভাবে গেল সে সেখানে? চলুন তো দেখি।
![](https://dailynewsreel.in/wp-content/uploads/2021/03/2-min-15.jpg)
কুয়াশায় ঘেরা চারপাশ। মাইনাস ডিগ্রীর হাড়ভাঙা কাঁপুনি। তার উপর চড়াই উতরাইতে শ্বাস বন্ধ হওয়ার জোগাড়। কিন্তু এসবই তুচ্ছ হয়েছে সৌজন্যের কাছে। মা-বাবার সাথে ২৭ শে ফেব্রুয়ারী মানেভঞ্জন থেকে তুমলিং গিয়েছে সে। তারপর কালাপোখরীতে রাতটা কোনো রকম কাটিয়ে ১ মার্চ চলে যায় সান্দাকফু থেকে ১.৫ কিমি দূরের আলে। কাকতালীয়ভাবে ১ মার্চই ছিল সৌজন্যের জন্মদিন। কুয়াশা কেটে তখন রোদ ঝলমলে আকাশ। জন্মদিনের উপহারে তাই সে পেয়ে গেল মাউন্ট এভারেষ্ট, মাউন্ট লোৎসে, মাউন্ট মাকালু, চ্যাংব্যাং, থ্রি সিস্টার্স সহ আরও অনেক শৃঙ্গ।
![](https://dailynewsreel.in/wp-content/uploads/2021/03/3-min-8.jpg)
এত উপরে এসে এমনভাবে সব শৃঙ্গ দেখতে পাওয়া এক ভাগ্যের ব্যাপার। আর সেই শুভ ভাগ্য লাভ করল সৌজন্য তার জন্মদিনে। তার এই ভ্রমণপ্রেমের আসল উৎস কিন্তু তার মা-বাবা। তার বাবা পর্বতারোহী আর মা অ্যাডভেঞ্চারের পোকা। তিন দিনের পাহাড়ী ছুটি কাটিয়ে আবার হেঁটেই সৌজন্য ফেরে শ্রীখোলা। সেখান থেকে শিলিগুড়ি হয়ে ফেরে কলকাতা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার একটি গ্রুপ পোষ্ট থেকেই এই ঘটনাটি সাড়া ফেলেছে নেট দুনিয়ায়। ছোট্ট সৌজন্যের এই অদম্য উৎসাহ আর ভরপুর শক্তিকে আজ তাই কুর্ণিশ জানাচ্ছেন বাংলার মানুষ।
Discussion about this post