খাবার খাবো অথচ পুষ্টিগুণ যাচাই করবো না, তা আবার হয় নাকি! আর সেই পুষ্টিগুণের তালিকায় একেবারে শীর্ষে স্থান পেয়েছে শুঁয়োপোকা। আজ্ঞে হ্যাঁ, শুনে নাক কোঁচকালেও একেবারে সত্যি কথা। সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের থেকে এমনই খবর পাওয়া গেছে। তাদের মতে, বর্তমানে আমরা যে সমস্ত খাবার খাই তা থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি মেলে না।
আর সেই পুষ্টির অভাব পূরণ করতে খাদ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে শুঁয়োপোকা। ইউরোপ, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এর চাহিদা প্রচুর বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে শুঁয়োপোকা সংগ্রহ একেবারেই সহজ কাজ নয়। বেশ ঘন জঙ্গলে পাম গাছের ডাল থেকে সংগ্রহ করতে হয় শুঁয়োপোকা। আর এই কঠিন কাজ সব সময়ে সম্ভব নয়। তাই রয়েছে বিকল্প ব্যবস্থা। প্রাকৃতিক প্রজননের বাইরেও শুরু হয়েছে শুঁয়োপোকা চাষ। মধ্য আফ্রিকায় শুঁয়োপোকা ভাজা প্রোটিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ ভীষণ সুস্বাদু খাবার হিসেবে গ্রহণ করা হয়। চড়া দামে তা বাজারে বিক্রি করা হয়। শোনা যায়, সেখানে এক ঝুড়ি শুঁয়োপোকার দাম প্রায় ৪ ডলার।
বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করছেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পোকামাকড় প্রোটিনের ভাণ্ডার হিসেবে রয়েছে। বিশেষ করে শুঁয়োপোকা। শুঁয়োপোকা ভাজা জিভে আনে রুচি। স্কটল্যান্ডে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে পোকার কেক। যা অত্যন্ত সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর। থাইল্যান্ডের বাসিন্দাদের ভীষণ পছন্দের খাবার শুঁয়োপোকা। পোকা রোদে শুকিয়ে তার মধ্যে দেওয়া হয় এক বিশেষ পাউডার। আর তা দিয়ে তৈরি হয় রুটি। তবে স্থানীয় মানুষ কাঁচা পোকা খেতেই বেশি পছন্দ করেন। রোদে শুকিয়ে কিংবা আগুনের তাপে ঝলসে নিয়ে অসম্ভব ভালো স্বাদ গ্রহণ করে থাকেন তারা।
Discussion about this post