শীতের হিমেল আমেজের বাতাস সাথে করে নিয়ে আসে পৌষে পার্বণের গন্ধ। বাঙালির শীতের পাত মানেই নানা সব্জি, নলেন গুড় আর সঙ্গে রকমারি পিঠে। আসলে, বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ পাতে নানারকম খাবার ছাড়া ভাবাই যায় না। তাই বইমেলা, ফুল প্রদর্শনী মেলার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় পিঠে পুলির উৎসবের মেলাও লক্ষ্য করা যায়। মা, দিদাদের তৈরি রকমারি পিঠে শীতের মজা আরো দ্বিগুণ করে তোলে। তবে ভাপা পিঠে তার মধ্যে একটু বেশিই মজাদার। এই পিঠের জন্মভূমি বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জে। কিন্তু তাতে কোনও ভেদাভেদ নেই, এপার বাংলাতেও ভাপা পিঠে সমান জনপ্রিয়। নারকেল আর গুড়ের পুর ভরা এই পিঠে মুখে যেন অমৃতের মতোই লাগে। তবে এটি খুব সহজেই তৈরি করা যায় বাড়িতে। একটু জেনে নেওয়া যাক সেই প্রক্রিয়া!

বাড়িতেই সহজলভ্য উপকরনের সাহায্যে এই পিঠে বানিয়ে নেওয়া যায়। প্রথমে একটা পাত্রে পরিমাণ মতো চালের গুঁড়ো নিয়ে, তাতে স্বাদ মতো নুন আর গরম জল সহযোগে মেখে নিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, কোনোভাবেই যেন চালের দলা না পাকিয়ে যায়। এরপর, একটা বাটিতে জল দিয়ে চুলাতে বসিয়ে দিতে হবে। এই পাত্রের উপরে একটি ছিদ্রযুক্ত আরেকটি প্রাত্রে সামান্য তেল লাগিয়ে বসিয়ে দিতে হবে। এবার, মেখে রাখা চালের গুঁড়ির লেচি করে আগে থেকে তৈরি করে রাখা নারকেল ও গুড়ের পুর দিতে। পুর ভরার পর পিঠেকে নানারকম আকার দিয়ে তার মুখ ভালো করে বন্ধ করে দিতে হবে।
এবার পিঠে গুলো এক এক করে ছিদ্রযুক্ত পাত্রে রাখবেন। তারপর পাত্রটির ওপর ভালো করে ঢেকে দিতে হবে। এবার, আপনার কাজ শেষ,পিঠের কাজ নিজেকে হালকা ভাপে তৈরি করে নেওয়া। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরে পাত্রের ওপর থেকে ঢাকনা সরিয়ে নিলেই দেখা যাবে আনন্দের ঝলক। অর্থাৎ আপনার পিঠে তৈরি পাতে যাওয়ার জন্য। এবার সামান্য গুড় সহযোগে গরম গরম পিঠে মুখে নিয়ে বলে উঠবেন, আহা! কী খাইলাম!
Discussion about this post