তেলেভাজা শরীরের জন্য বড়ই খারাপ। তেলে ভাজা খেলেই হু হু করে বাড়ে মেদ, বাড়ে কোলেসটরল, বাড়ে আরও অনেক কিছু। এসব বলার লোক কিন্তু আছে অনেক। কিন্তু ‘তেলেভাজা ভালোবাসিনা’, এই কথা বলার মানুষ আজ পর্যন্ত কখনও খুঁজে পেয়েছেন কী? আমাদের চায়ের কাপে, বা সন্ধ্যের আড্ডায় একটু মুখরোচক কিছু না পড়লে যেমন জীবন মিয়োনো লাগে, তেমনই তেলেভাজা ছাড়াও জীবন যেন নুন ছাড়া তরকারি। আর সেই তেলেভাজা যদি হয় কলকাতার সেরা? তবে তো কথাই নেই।
কথা হচ্ছে ফিশ ফ্রাই নিয়ে। কলকাতার সেরা ফিশ ফ্রাই। বিয়েবাড়ি থেকেবাড়িতে অতিথি সমাগম- সবখানেই ফিশ ফ্রাইয়ের একার রাজত্ব। তাই মিত্র ক্যাফে বলুন বা চিত্ত বাবুর সুরুচিতে যুগের পর যুগ ধরে লাইন বাড়ে, বৈ কমে না। ফলে বাঙালির ফিশ ফ্রাই প্রীতি খুব নতুন কিছু নয়। ফিশ ফ্রাইয়ের নামে কোনো বাঙালির হৃদয় গলেনি, এমন নিদর্শন পেতে বহু খাটাখাটনিই করতে হবে। কলকাতার গলি থেকে রাজ সড়ক সর্বত্র গড়ে উঠেছে এবং গড়ে উঠছে তেলেভাজার দোকান। কিন্তু ৭০ বছরের পুরনো শঙ্কর কেবিন তার মান হারায়নি এখনও।
দক্ষিণ কলকাতায় সস্তায় মন ভরানো ফিশ ফ্রাইয়ের স্বাদ পেতে চলে যেতে হবে গোল পার্ক। হিন্দুস্থান সুইটস এর পাশ দিয়ে হাঁটলেই পাওয়া যাবে এই দোকানের খোঁজ। মাটন চপ, ফিশ ফ্রাই, ফিশ ব্যাটার ফ্রাই, কাটলেট, চিকেন পকোরা, ডিমের চপ, মাছের চপ, নিরামিষ চপ ইত্যাদি ১৮ থেকে ২০ রকমের খাবার পাওয়া যায় শঙ্কর কেবিনে। যার সমস্তই আপনি পেয়ে যাবেন অতি সামান্য দামে। দুপুর থেকে রাত দশটা পর্যন্ত নিয়মিত মানুষের লাইন থাকে। নামিদামি ক্যাফের ঝাঁ চকচকে কেতার, বদলে পুরনো আন্তরিকতার স্বাদ এনে দেবে এই শঙ্কর কেবিন।
Discussion about this post