একে তো শীতকাল, তার ওপর জমিয়ে পড়েছে ঠান্ডা। এই অবস্থায় পেটপুজো ছাড়া কিছু ভাবাই যায় না। আর বাঙালি, এদের তো সব ভাবনার শুরু আর শেষ এখন খাবার দিয়ে। শীতকালে সেই খাদ্যের বাহার সামনে থাকলে, সব পুজো ছেড়ে বাঙালি পেটপুজোতেই মত্ত হয়। আজ বরং খাদ্যরসিক বাঙালির এক বিখ্যাত দোকানের গল্প করা যাক।
আমাদের এই শীতের সন্ধ্যেতে চায়ের সাথে টা না হলে ঠিক জমে না। যদি সেটা হয় মুখরোচক তবে তো কথাই নেই। তাই শীতের সন্ধ্যেতে চা বা কফির সাথে মুচমুচে জলযোগ হিসেবে কাটলেট, প্যান্থারাস, চিকেন ফ্রাই খাওয়ার মজাই আলাদা। আর এই মজা নিতে অবশ্যই আসতে হবে শ্যামবাজার মেট্রোর ৫ নম্বর গেটের পাশ দিয়ে ঢুকে চৌধুরী লেনে। দোকানটির নাম বড়ুয়া এন্ড দে ফাস্ট ফুড সেন্টার। বয়স ৮৮ বছর। বহু বছর পুরনো এই দোকানটির যে ইতিহাসে ধরা পড়ে তা বেশ মজার। ১৯৩৩ সালে বাঙালি যখন বড় বড় ক্লাবে যেতে পারতো না, তখন আড্ডার আসর বসানোর জন্য তৈরি হয় ‘থেটাবেটা ক্লাব’। গল্প, আড্ডা, তাসের আসর নিয়ে জমে উঠেছিল সেই ক্লাব।
বড়ুয়া সাহেবকে কুক হিসাবে ক্লাবের ক্যান্টিনে নিয়ে আসা হয়। বড়ুয়া সাহেব যা তৈরি করতেন তা শুধু ক্লাবে আসা বাঙালি বাবুদের জন্যই। অবশিষ্ট যা থাকতো, তা বাইরের লোককে বিক্রি করা হতো। স্বাধীনতার পরবর্তীকালে ক্লাব যখন উঠে যায়, তখন বড়ুয়া এন্ড দে ফাস্ট ফুড সেন্টার হিসাবে এই দোকান পথ চলা শুরু করে। এখনও এই দোকান রমরমিয়ে চলছে। এই দোকানের স্পেশাল আইটেম মাটন প্যান্থারস ও চিকেন ফ্রাই। অনন্য কায়দায় বানানো এই মাটন প্যান্থারস ও চিকেন ফ্রাই খেতে অনবদ্য। শীতের সন্ধ্যায় চা এর সাথে এই মুখরোচকের জুটি জিভে জল আনতে বাধ্য।
এখানের খাবারের দাম শুরু মাত্র ৪০ থেকে। আর এখানে আসলে খেতেই হবে মাটন প্যান্থারস ও চিকেন ফ্রাই। শীতটা বেশ জাঁকিয়েই পড়েছে। চায়ের সাথে টায়ের অনবদ্য মেলবন্ধন ঘটাতে চান? চলে আসুন উত্তর কলকাতার বড়ুয়া এন্ড দে ফাস্ট ফুড সেন্টারে।
Discussion about this post