ভাষা হোক বা শেষ পাতে মিষ্টি মানেই বাঙালির গর্ব। রসগোল্লার আবিষ্কার হোক বা বাড়িতে বানানো চিজ সবেতেই দক্ষ বাঙালি জাতি। আজ্ঞে হ্যাঁ, চিজ তৈরি হয় বাড়িতে। এই চিজ তৈরির পদ্ধতি একেবারে অভিনব। লেবুর রস দিয়ে দুধ কাটিয়ে তৈরি হয় থেকে ছানা। আর সেই ছানা আলাদা করে নিয়ে বানানো হয় চিজ। তবে এ আবিষ্কার বাঙালির নিজের নয়। দুধ কাটিয়ে ছানা তৈরির পদ্ধতি শিখিয়ে গিয়েছে পর্তুগীজরা। শুধু ছানাই নয় এমন অনেক দুগ্ধজাত খাবার বাংলায় এসেছে পর্তুগীজদের হাত ধরে। আর তার মধ্যেই অন্যতম একটি হল চিজ।
তবে আজ কোনো প্যাকেটজাত চিজের কথা হচ্ছে না। দেশি চিজ যা তৈরি হয় একেবারে ঘরে বসে, সেটিই আজকের আলোচনার মূল কেন্দ্র। দেশি পদ্ধতিতে তৈরি চিজের জন্ম হয় ব্যান্ডেলে। শোনা যাচ্ছে, ব্যান্ডেলের চিজ পেতে চলেছে জিআই তকমা। এসপ্ল্যানেডের হগ মার্কেটে গেলেই দেখা মিলবে এই চিজের। যা বিখ্যাত ‘ব্যান্ডেল চিজ’ নামে। কিংবদন্তি এই চিজের বিশেষত্ব হল সহজে এই চিজ নষ্ট হয় না। ঔপনিবেশিক আমলে জানা ছিল না প্যাকেজিংয়ের পদ্ধতি। তাই গোয়ালারা ঘুঁটের আগুনের ধোঁয়ায় এই চিজকে শক্ত করতো বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে।
সাধারণ প্যাকেটজাত চিজ খোলা অবস্থায় থাকলে সহজেই খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু ব্যান্ডেলের এই চিজ দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় এর সুনাম চিরকালের। ব্যান্ডেল চিজ প্রধানত দু’রকমের হয় – সাদা রঙের সাধারণ চিজ ও বাদামি স্মোকড চিজ। তবে এতে ধোঁয়া ধোঁয়া আধপোড়া গন্ধের সাথে সামিল হয় নোনতা স্বাদ। মুখের ভিতর স্বর্গীয় অনুভূতি। কলকাতা থেকে ব্যান্ডেল সর্বত্রই দেখা মেলে এ চিজের। কাজেই চেখে দেখতেই পারেন সম্ভাব্য জি আই তকমার এই চিজ।
প্রচ্ছদ চিত্র ঋণ – Discovering Kolkata
Discussion about this post