শীতের ফসলে মাঠ সবুজ। প্রকৃতি নিজেকে সাজিয়ে নিতে বেশ পটু। একদিকে নতুন ধানে সাজছে গোলা। আর সেই ধানের নতুন চাল থেকে বাঙালির হেঁশেল সেজে উঠছে পিঠে পুলিতে। বাতাস মজে ওঠে পিঠের গন্ধে। এর উষ্ণতা ঠান্ডাকে কাবু করতে না পারলেও মনের মধ্যে ছেয়ে থাকে বেশ।

শীতের নতুন ফসলের জন্য মসজিদে মিলাদ পড়া হয়। আর এদিকে যেন পিঠের গল্প লেখা হয়। সঙ্গী থাকে খেজুর গুড় আর নারকেল কোরা। সংস্কৃত ‘পিষ্টক’ থেকেই ‘পিঠে’ বা ‘পিঠা’ কথাটা এসেছে। বাংলার পিঠে এক অপরূপ শিল্প বলা চলে। তবে নানা রকম পিঠের মধ্যে চুষি পিঠে কিন্তু বেশ উল্লেখযোগ্য।

এ পিঠে তৈরি করতে লাগবে চালের গুড়ি, নুন, গরম জল, দুধ আর চিনি। চালের গুড়িকে নুন দেওয়া গরম জল দিয়ে প্রথমে ভালো করে মেখে নিতে হবে। তারপর মাখা থেকে ছোটো ছোটো করে চুষি কেটে নিতে হবে। কেটে নেওয়া চুষি এবার গরম দুধে ফেলে ফুটিয়ে নিলেই তৈরি চুষি পিঠে। গরম গরম পরিবেশন করে ফেলুন চুষি পিঠে। তবে পিঠের স্বাদ বাসি হলেই বাড়ে।
পিঠে তৈরির কাজটা সাধনা বললে ভুল হবে না। অনেকটা ধৈর্য্য ধরে তবেই সুন্দরভাবে তৈরি হয় পিঠে-পুলি। তবে এ সাধনা খুব একটা কষ্টকর নয়। তবে আর দেরি না করে আজই বানিয়ে ফেলুন চুষি পিঠে। মিষ্টি স্বাদের ভাগীদার হতে বাধা কিসের!







































Discussion about this post