চতুর্থ দফার লকডাউনের হাত ধরেই অধিকাংশ রাজ্যেই খুলে গেছে শপিং মল রেস্তোরাঁ, জিম, পানশালা। যদিও লকডাউন উঠলেও পর্যাপ্ত গ্রাহকের অভাবে মার খাচ্ছে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ব্যবসায়ীরাই। ভ্যাকিসিনের দেখা না মিললেও মানুষ ধীরে ধীরে প্রমোদ ভ্রমণে বেরলেও মনে রয়েছে করোনা ভয়। তাই সংক্রমণ এড়াতে রেস্তোরাঁর খাবারের বদলে বাড়ির খাবারই পছন্দ করছেন সিংহভাগ মানুষ। যদিও শহরেরে নামজাদা রেস্তোরাঁগুলিতে করোনা বিধি যথাযথ ভাবে মানা হলেও ভরসা পাচ্ছেন না অনেকেই। আর এখানেই করোনা আতঙ্ক দূরে সরাতে মাঠে নেমেছে গুরগাঁওয়ের ভিত্তি স্টার্ট আপ সংস্থা ‘রেসপায়ার প্যুরো।’
মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে কি এই ‘রেসপায়ার প্যুরো’? করোনা রুখতে যখন হিমশিম খাচ্ছে বিজ্ঞানীর দল তখন কী করে এই ছোট্ট সংস্থা মানুষের মন থেকে করোনা ভয় দূর করবে ? সহজ ভাষায় বললে উদ্যোগপতি বিবেক ভুগরার তৈরি এই সংস্থা যে কোনও পানশালা, রেস্তোরাঁ বা প্রতিষ্ঠানকে ভাইরাসের বিরুদ্ধে পাঁচিল তুলে সংস্থার ভিতরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। মূলত বাণিজ্যিকভাবে এয়ার পিউরিফায়ার বা বায়ু পরিশোধন যন্ত্রের মাধ্যমেই তারা এই কাজ করে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে দিল্লির মারাত্মক বায়ু দূষণ যখন গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছিল সেই বছরই বিবেক ভুগরার হাত ধরে যাত্রা শুরু ‘রেসপায়ার প্যুরো’র। সংস্থা সূত্রে খবর, তারা এখনও পর্যন্ত দেশব্যাপী প্রায় ২০০ টি বায়ু পরিশোধন সিস্টেম ও ৩০টি বায়ু পরিশোধন সিস্টেম বসিয়েছে। এই সমস্ত বায়ু পরিষেধক যন্ত্রগুলি দূষিত পিএম ২.৫ বায়ুকণা, ব্যাকটেরিয়া ও ভিন্ন ধরণের মারণ ভাইরাসের সাথে ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে লড়াইয়ে সফলতা পেয়েছে বলে জানান সংস্থার প্রধান বিবেক ভুগরা। তার দাবির সত্যতা যাচাইয়ে এই সমস্ত বায়ু পরিশোধক যন্ত্রগুলির ল্যাব টেস্টের রিপোর্টের উপরেও জোর দিতে দেখা যায় তাকে।
Discussion about this post