চলছে রমজান মাস, চলছে দিনের শেষে ইফতার। সামনেই ঈদ। এপার এবং ওপার বাংলার মানুষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসবের দিন। আর উৎসব মানেই খাওয়া-দাওয়া। খাওয়া-দাওয়া যেখানে আছে, সেখানে বাঙালির মিষ্টি থাকবে না, তাই কী হয়? ফলে রয়েছে হরেকরকম পুরনো ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির পসরা। দোকান বাজারের মিষ্টির দোকানে গেছে মিষ্টির বিক্রি বেড়ে। কিন্তু, শুধুই কী পুরনো রেসিপিতে পেট ভরে? পেট আর মনের রসনায় দোকানে এবং বাড়িতে উপস্থিত নতুন নতুন ধরণের খাবার এবং মিষ্টি। ঐতিহ্যবাহী পদগুলির সঙ্গে সেগুলির চাহিদাও কম কিছু নয়। তেমনই একটি পদ লাচ্ছা সেমাইয়ের রাবড়ি।
লাচ্ছা সেমাইয়ের পায়েস তো খেয়েছেন, বাড়িতেও তা বানিয়ে নেওয়া এমন কিছু কঠিন নয়। আর রাবড়ি তো সারা ভারতের একটি ঐতিহ্যবাহী পদ। গাঢ় দুধের মধ্যে ডুবে রয়েছে সরের টুকরো। মিষ্টি প্রিয় মানুষের রাবড়ির প্রতি দুর্বলতা বহুদিনের। এই দুয়ে মিলে যখন মিষ্টান্নের রূপ-রস-গন্ধকে আরও বাড়িয়ে তোলে, তখন কেমন হয়? ঈদের আগেই শিখে ফেলুন এই ‘টু ইন ওয়ান’ মিষ্টি বাড়িতেই বানিয়ে সকলকে কীভাবে তাক লাগিয়ে দিতে হয়।
লাচ্ছা সেমাইয়ের রাবড়ি বানাতে গেলে লাগবে ২ লিটার দুধ, দেড় কাপ লাচ্ছা সেমাই, ১ কাপ চিনি, এলাচের গুঁড়ো ১ চা-চামচ, জাফরান, পেস্তা ও কাঠবাদামকুচি ৩ টেবিল চামচ। বড় কড়াইতে দুধ ফুটিয়ে নিয়ে ৩ কাপ দুধ তুলে রাখুন। বাকি দুধ জ্বাল দিতে থাকতে হবে ক্রমাগত, আর সর পড়লে কড়াইয়ের এক পাশে উঠিয়ে রাখতে হবে। এভাবে চলতে চলতে যখন দুধের পরিমাণ কমে আসবে, তখন এলাচের গুঁড়ো ও আধ কাপ চিনি দিয়ে নাড়াচাড়া করে গ্যাস বন্ধ। পাশে রাখা সরের স্তর খুন্তির সাহায্যে সেই দুধের সঙ্গে মিলিয়ে রাখুন। লাচ্ছা সেমাই গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে, উঠিয়ে রাখা দুধের সঙ্গে চিনি দিয়ে মিলিয়ে নিতে হবে। সব একসঙ্গে কড়াইতে দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে নামিয়ে নিন। শেষে পেস্তা, বাদাম ও জাফরান দিয়ে দিতে হবে। ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন।
Discussion about this post