স্কুল থেকে ক্লাব বা স্বাধীনতা দিবস থেকে স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। সব ক্ষেত্রেই ছোট থেকে বড় সকল বয়সের মানুষের স্বল্প ক্ষিদে মেটানোর ভরসা বাপুজী কেক। মধ্যবিত্ত বাঙালির কাছে বাপুজী কেক পকেট সই একটি খাদ্য। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে প্রতিটি বাপুজী কেকের দাম ৬ টাকা থেকে ৭ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেকারী কর্তৃপক্ষ। বেকারীর তরফে নোটিস দিয়ে এই কথা জানানোর পাশাপাশি সমস্ত ক্রেতা ও বিক্রেতাদের এই বিষয়ে সহযোগিতা প্রার্থনাও করেছেন তারা।
১৯৭৩ সালে আলোকেশ জানার হাত ধরে প্রথম ‘নিউ হওড়া বেকারি প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এই সংস্থার রেজিস্ট্রেশন হয়। এখানেই তৈরি হতে শুরু করে বাঙালির সাধের বাপুজি কেক। এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা অলোকেশ জানার দুই ছেলে অমিতাভ জানা এবং অনিমেষ জানা। এনারাই এখন বাপুজি কেকের ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। কেকের পাশাপাশি বিভিন্ন বিস্কুট আর পাউরুটিও তৈরি করে এই সংস্থা।
বেকারী কর্তৃপক্ষের মতে, করোনার জন্য রাজ্যে স্কুল বন্ধ থাকায়, বিক্রি অনেকটা কমে গিয়েছে বাপুজি টিফিন কেকের। এছাড়াও ১৮ শতাংশ জিএসটির বোঝাও কিছুটা কাবু করেছে। তবে বড় বড় সংস্থার কেকের বাজারের হাল ফিরলেও ছোট ছোট বেকারিগুলি এখনও ধুঁকছে। তার উপর এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে কেকের কাঁচামালের দামও আকাশছোঁয়া। সেই কারণেই এই সামান্য দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাপুজী কেকের না কোনওদিন মোড়কের জৌলুস ছিল বা আছে। আবার না স্বাদে কোনও রকম পরিবর্তন এসেছে এই ৪৯ বছরে। এত সময় পার করেও বাঙালির মনে আজও এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে লাল-সবুজ-হলুদ কাগজের মোড়কের এই কেক। হাজারও নামী দামি ব্র্যান্ডের কেকের ভিড়েও বাঙালির মনে পাকা জায়গা করে নিয়েছে বাপুজী কেক। বাঙালির শৈশবের সাথে জড়িয়ে আছে বাপুজী কেকের ভিন্ন ভিন্ন গল্প।
Discussion about this post