পৌষপার্বণ চলে গেলেও পিঠে নিয়ে বাঙালির উন্মাদনার শেষ নেই। বাঙালির শীত যেন পিঠে, পাটিসাপটা, মালপো ছাড়া অসম্পূর্ণ। মা-দিদিমার হাতের পিঠে দিয়ে শুরু করে নারকেল ছাঁচের পাটিসাপটা মন ভরিয়ে রাখে অনায়াসেই। আর গুড়ের তৈরি নানান ধরণের পিঠে জিভে জল আনতে এক কথায় এক ধাপ এগিয়ে। আর এই বাংলাদেশী পিঠেও এপারের বাংলার সাথে পায়ে পা মিলিয়ে নিজেদের আভিজাত্য বজায় রেখে চলেছে। আজ আমরা জানবো বাংলার দুধ গোকুল পিঠে নিয়ে।
পুর তৈরি করার জন্য উনুনে মাঝারি আঁচে ১ টেবিল চামচ ঘি গরম করে মুগ ডাল দিতে হবে। ডালের ভেজা ভাব দূর হওয়ার পর্যন্ত ভালো করে নাড়তে থাকুন। ১ কাপ জল দিন। প্যান ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন ২০ থেকে ২৫ মিনিটের জন্য। ডালের জল পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে নিন। ব্লেন্ডারে মিহি করে ব্লেন্ড করুন সেদ্ধ ডাল। আরেকটি প্যানে ২ টেবিল চামচ ঘি দিন। ঘি গরম হলে তরল দুধ, চিনি ও লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন। চিনি গলে গেলে ডালের মিশ্রণ দিয়ে দিন। নেড়েচেড়ে গুঁড়ো দুধ ও এলাচ দিন। মিশ্রণটি প্যান থেকে উঠে আসার আগে পর্যন্ত নাড়ুন।
ডো তৈরির সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। অল্প অল্প করে জল দিয়ে নরম ডো তৈরি করুন। ডো থেকে সামান্য অংশ ছিঁড়ে রুটির মতো করে বেলে নিন। রুটি খুব বেশি মোটা হবে না, পাতলাও হবে না, এমন ভাবে বানাতে হবে। কুকি কাটার দিয়ে ছোট ছোট অংশ করে কেটে নিন রুটি। এবার একটি ছোট রুটির মধ্যে ডালের পুর দিন। আঙুলে জল নিয়ে রুটির চারপাশে বুলিয়ে নিন। আরেকটি ছোট রুটি উপরে দিয়ে ঢেকে দিন পুর। আঙুল দিয়ে চেপে চেপে চারপাশ আটকে নিন। ভাঁজ করে করে নকশা করে নিতে পারেন। এভাবে সবগুলো পিঠে বানিয়ে নিন। মাঝারি আঁচে তেলে ভেজে নিন পিঠে।
১ কাপ দুধের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়া মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করে রেখে দিন। এবার পিঠে ভেজানোর জন্য চুলায় ৩ কাপ দুধ, চিনি, লবণ, ঘি, এলাচ ও তেজপাতা দিয়ে নেড়ে নিন। পিঠেগুলো কোনো পিন দিয়ে ছিদ্র করে দিতে পারেন। এতে দুধ ভেতরে ঢুকে নরম হয়ে যাবে পিঠা। প্যান ঢেকে দিন। ৫ মিনিট পর ঢাকনা তুলে ঘন দুধ ও চালের গুঁড়োর মিশ্রণ দিয়ে দিন। আরও ৫ মিনিটের জন্য প্যান ঢেকে দিন। এরপর পরিবেশন করুন মজাদার দুধ গোকুল পিঠে।
চিত্র ঋণ – মুকুলিকা বিশ্বাস, রিয়া মুখার্জী মিশ্র, অঙ্কিতা দাস নাথ
Discussion about this post