চাচা চৌধুরী থেকে চার্লি চ্যাপলিন, চায়ের জনপ্রিয়তার পারদ তরতরিয়ে চড়েছে বিশ্ব জুড়েই। কখনও সেজেছে গানওয়ালার ঠোঁটে ‘এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই’ কখনও বা গৃহবন্দী ক্ষিপ্ত মানুষ বলে উঠেছে ‘আমরা কি চা খাবো না, খাবো না আমরা চা?’ ময়দান থেকে মালয়েশিয়া, কাশ্মীর থেকে হংকং, দার্জিলিং থেকে দুবাই চায়ের জনপ্রিয়তা কিন্তু সর্বজনীন।
চা এমন এক পানীয় যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এই যেমন ধরুন জীবনে প্রথম চাকরি পাওয়ার আনন্দটা বন্ধুদের সাথে ভাগ করে নিতে লাগাও চুট পাড়ার চা দোকানে, কিংবা পাহাড়ের কোলে বসে প্রকৃতির সুন্দর্য উপভোগ করতে করতে পছন্দের পেয়ালায় তৃপ্তির চুমুক। কখনও মন খারাপের নিঃসঙ্গ বিকেলগুলোয় সদ্য বিচ্ছেদের সাক্ষী রয়ে গিয়েছিল এই পানীয়ই। চা যে কখন আমাদের আত্মার আত্মীয় হয়ে উঠেছে ধীরে ধীরে তা হয় তো আমরা বুঝতেও পারিনি।
আমাদের দেশে যদিও দুধ চায়ের প্রচলনটা প্রথম সাহেবরাই নিয়ে এসেছিল। তার আগে পর্যন্ত এদেশের মানুষ লিকার চাই খেত। অসাম কিংবা দার্জিলিং চায়ের স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়তার কথা তো আমরা সবাই জানি কিন্তু কাশ্মীরের কাহাওয়া বা রাজস্থানের গুলাবী চাই বা কম কীসে? শুধু কি তাই? এদের সবাইকে টেক্কা দিতে জমিয়ে লড়াই করছে চকোলেট চাও। হাল ছাড়েনি তন্দুরী চাও। এই পানীয় শুধু স্বাদে গন্ধেই নয়, গুনমানেও জয় করেছে মানুষের মন। জানতে ইচ্ছে করছে কীভাবে?
শুনুন তাহলে: ১, লেবু চা – মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। ২, আদা চা – লিভারের কার্যকারিতা ভালো রাখে। ৩, তুলসী চা – সামান্য সর্দি কাশি থেকে রেহাই দেয়। ৪, পুদিনা চা – ভীষণ ভাবে সতেজ করে। ৫, গ্রীন টি – শরীরে মেটাবলিজমের পরিমাণ ঠিক রাখে। ৬, লবঙ্গ চা – দাঁত ভালো রাখে। এভাবেই বেঁচে থাক চা চর্চা। জীবন ভরুক প্রতিটা চুমুকের আনন্দে।
চিত্র ঋণ – চাঁদ কুমার ঘোষ, সুবীর শী, কোয়েল সিনহা
Discussion about this post