বিপ্লবের পুণ্যভূমি তৎকালীন পূর্ব বঙ্গ তথা আজকের বাংলাদেশের চট্টগ্রামে তখন মাস্টারদাকে গ্রেফতার করতে ব্রিটিশ বাহিনীর তুমুল ধরপাকড়। মাস্টারদা তার সঙ্গীসাথীদের নিয়ে ব্রিটিশ বাহিনীর কবল থেকে আত্মরক্ষার জন্য নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে শুরু করলেন। মাস্টারদা’র কাছে খবর এলো চট্টগ্রাম শহরের অদূরে হাটহাজারী-নাজিরহাট মহাসড়কের চৌধুরীহাট বাজারের দেড় কিলোমিটার পশ্চিমে দূর্গম পাহাড়ী জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় আধ্যাত্নিক সাধনা করছেন বাবাজী সত্যানন্দ সাধু।
জানা যায়, স্বামী সত্যানন্দ সাধু পটিয়া উপজেলার ধলঘাটের গৈড়ালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।এক সময় তিনি তীর্থ পরিক্রমায় বের হয়ে সীতাকুন্ড, চন্দ্রনাথ দর্শন শেষে, চৌধুরীহাট এলাকার পশ্চিম পাশে গভীর অরণ্যের সুউচ্চ পাহাড়ে স্বামী সত্যানন্দ সাধু ধ্যান মগ্ন হয়ে সাধনা লাভ করেন। মাস্টারদা বৃটিশ বাহিনীর হাত থেকে গ্রেফতার এড়াতে স্মরণাপন্ন হলেন স্বামী সত্যানন্দের নিকট। স্বামী সত্যানন্দের আদেশে মাস্টারদা এবং তার সঙ্গীসাথীরা দিনের বেলায় গভীর অরণ্যের এই আশ্রমে লুকিয়ে থাকতেন।
আন্দোলনকারীরা সেখান থেকে আন্দোলন চালাতে থাকে। পরবর্তীতে লোকজন এ সাধুর নানা অলৌকিক কার্যক্রম অবহিত হয়ে তার অনুসারী হয়ে উঠে। পরবর্তী সময়ে স্বামী সত্যানন্দ সাধু দেহ ত্যাগ করলে পাহাড় চূড়ায় তাকে সমাধি দেয়া হয়।পরবর্তীতে বিপ্লবীরা সেখানে মন্দির তৈরির কাজে ভূমিকা রাখে। বর্তমানে মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকা একাধিক ব্যক্তি সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ মহাপুরুষের বাৎসরিক আর্বিভাব ও প্রয়ান উৎসব সেখানে প্রতিবছর মহাসমারোহে উদযাপিত হয়। এ দুই উৎসবে মন্দিরে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। সীতাকুন্ড শংকর মঠের পরিচালনাধীন স্বামী সত্যানন্দ মঠের পাহাড়ের চুড়ায় মন্দিরসহ সত্যানন্দ বাবাজীর বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
Discussion about this post