শহর জুড়ে শুধু প্রেমের মরসুম নয়। এ মরসুমে মজেছে গোটা পৃথিবীই। এই মুহূর্তে স্রোতের মত যা বয়ে চলেছে তা হচ্ছে ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ। তবে ভালোবাসার পাশাপাশি বেড়ে চলেছে ব্যবসা। চলেছে ভ্যালেন্টাইনস ডে’র ঋতু। আর এ দিন যেন আরও বেশি করে চোখে পড়ে ভালোবাসার বাণিজ্যিক রূপ।
শোনা যায়, প্রাচীন লুপাকেলিয়ায় নারীদের ছাগলের চামড়া দিয়ে পেটানো হতো। সেই নারীদেরই ভ্যালেন্টাইনস ডে তে নানান উপহার দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করছে এই যুগের পুরুষেরা। এ উপহার হিসেবে থাকে ফুল, চকলেট, কার্ড ইত্যাদি। মনে করা হয় সেই থেকেই শুরু ভ্যালেন্টাইনস ডে’র শুরু। তবে বর্তমানে ভালোবাসা প্রকাশ হয়ে গেছে উপহার কেন্দ্রিক। যার ফলে কিছু ব্যবসায়ীদের লাভ হয়েছে অবশ্য।
পশ্চিমা বিশ্বে বড় দিনের পরে সবচেয়ে বেশি কার্ড ও উপহার বিক্রি হয় ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে। প্রিটিং কার্ড অ্যাসোসিয়েশন এর এক হিসাব বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর এ দিন গড়ে এক বিলিয়ন কার্ড পাঠায় মানুষ। আমেরিকানরা জনপ্রতি ১৩০ ডলার করে গড়ে মিলিতভাবে ২০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে। শুধু আমেরিকা নয়, ব্যবসা চলে এ দেশেও। হিসেব বলছে, দাম বেশি থাকলেও এই দিনে সব চেয়ে বেশি ফুল বিক্রি হয়। এ দেশে গবেষণা চালালে আরও চরম চমক বেরিয়ে আসবে হয়তো।
১৮৪০ অথবা ১৮৪৮ সাল নাগাদ ২০ বছর বয়সের এস্টার হল্যান্ড আমেরিকায় প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ভ্যালেন্টাইনস কার্ড বানাতে শুরু করে। আমেরিকায় তাকে মাদার অব ভ্যালেন্টাইন বলে ডাকা হয়। তবে ১৯১৩ সালের প্রথম দিকে হলমার্ক ভ্যালেন্টাইনস কার্ড তৈরি শুরু করে। তখন অবশ্য হাতে করে তৈরি হতো কার্ডগুলো। প্রতিবছর এই দিনটিকে কেন্দ্র করে নানান পত্র পত্রিকায় লেখা হয়। তবে আজকের ভালোবাসা নোটবন্দি। তবুও প্রতিটা দিন হয়ে উঠুক ভালোবাসার।
Discussion about this post