বাংলাদেশের রাজধানী, ঢাকার বাইরে একটি ছোট্ট শহরে টিনের চালের নিচেই কয়েকজন মিলে তাঁত বোনার কাজ করতেন। এশিয়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মানুষ একসময় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মসলিনের কদর করত। আর সেখান থেকেই সস্তায় এর বিকল্পও বের করে ফেলেছিল বিভিন্ন পোশাক তৈরির কারখানাগুলি। তবে এবার হাল ফিরতে চলেছে বাংলাদেশের তাঁতিদের। আসলের মর্ম বুঝতে পেরেছে মানুষ। জানা গিয়েছে, গত দুই দশকে বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। প্রায় ৪০০০ কারখানায় সারা বিশ্বের জন্য পোশাক তৈরি হয়।

এই প্রসঙ্গে ৫৫ বছরের মোহম্মদ আবু তাহের জানান, তিনিই তার পরিবারের শেষ ব্যক্তি যিনি এই পেশা গ্রহণ করেছেন। ঢাকা শহর থেকে ১২ মাইল দূরে অবস্থিত টিনের চাল সম্বলিত একটি ছোট্ট কুঠুরি ঘরে বসে তিনি আরও জানান, “আমার বড় দাদা থেকে পূর্ব পুরুষ সকলেই তাঁতি ছিলেন, কিন্তু আমার ছেলে মেয়েরা এই মৃতপ্রায় শিল্পের সাথে যুক্ত হতে চায়না।”

আরেক তাঁতি জানান, একসময় রুহিতপুরের হাতে বোনা লুঙ্গি মূল্যবান সম্পদ ছিল। ঐতিহ্য ছিল কিন্তু এখন বিদ্যুতের মাধ্যমে তাঁত বোনা হয়। ওদের সাথে প্রতিযোগিতায় আর আমরা পেরে উঠিনা। এখানে মাত্র ৩ ডজন তাঁতি রয়েছেন যারা হাতে তাঁত বোনেন। আমাদের হাতে বোনা কাপড়ের মান অনেক ভালো। কিন্তু দাম আর উৎপাদনের দিক দিয়ে আমরা তাদের সাথে পেরে উঠিনা।
Discussion about this post