খবরের হেডলাইন থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার স্ট্যাটাস- ভারতের গরম সংক্রান্ত বিষয়ই এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। দেশে যখন ব্যঙ্গাত্মক পোস্টগুলিতে মরুভূমি ও উটের উল্লেখ ফুটে উঠছে ইদানিং, খোদ মধ্য প্রাচ্যের মরুভূমির জলবায়ুর খবর চমকে দেওয়ার মতো। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে রেকর্ড বৃষ্টির দাপটে ছারখার দশ দিক! আবহাওয়া দপ্তরের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আমিরশাহীর ৭৫ বছরের ইতিহাসে এমন বৃষ্টি নজিরবিহীন।
গত মঙ্গলবার আমিরশাহীতে ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে ২৫৪.৮ মিলিমিটার। আমিরশাহীর সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি ভবিষ্যতে আরও রয়েছে তার সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। বৃষ্টির দাপটে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ১৭ই এপ্রিল অবধি সব কটা উড়ান বাতিল করেছে। স্কুল-কলেজে বন্ধ পঠন-পাঠন। পন্ড হয়েছে আল-আইন বনাম আল-হিলালের গুরুত্বপূর্ণ এএফসিএল’র সেমিফাইনাল। অফিসগুলি কর্মচারীদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোমের’ নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অনুকূল না হওয়া অবধি।
মরুদেশে আবহাওয়ার এমন উলটপুরাণ বিশ্বের সামগ্রিক জলবায়ু ব্যবস্থার ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে সেই নিয়ে চলছে গবেষণা। আবহাওয়াবিদদের মতে, বিশ্ব- উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রের জল ক্রমাগত তপ্ত হওয়ার জন্য জলীয় বাষ্প বাড়ছে বাতাসে। তৈরী হচ্ছে ঝড় ও মেঘের অনুকূল পরিস্থিতি। দোসর হচ্ছে এল-নিনো’র প্রভাব। তাই পাল্টে যাচ্ছে মধ্য প্রাচ্যের আবহাওয়ার চালচিত্র। তবে ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়ার ফলে মরুদেশে মিষ্টি জলের অভাব অনেকটা পুষিয়ে যাচ্ছে, অভিমত ভূ-বিজ্ঞানীদের।
Discussion about this post