শীতের কাঁপুনিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সময় বলছে, বসন্ত এসে গেছে। খাদ্য প্রিয় মানুষদের এও এক দারুণ সময়। আর খাবার যদি হয় তেলেভাজার রকমফের, তাহলে তো কথাই নেই। সেটাও আবার মাত্র ১০ থেকে ১৫ টাকা খরচের মধ্যে। গরমের হাঁসফাঁস নেই, শীতে হাত জমে যাওয়া নেই, তাই খেতে বাধা বিপত্তি বহুদূর।

কল্যাণীর ঘোষপাড়া স্টেশনেই রয়েছে এমন এক দোকানের ঠিকানা। যেখানে মাত্র ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায় নানান মুখরোচক খাবার। সে তালিকায় রয়েছে চিকেন স্যাটে, চিকেন পকোরা, চিকেন স্যান্ডউইচ, লোটে চপ, মাশরুম আরও নানান কিছু। খাবারের স্বাদ অসাধারণ। দোকানটি চালান টোটোন দাস নামক একজন। জানা গিয়েছে, তার স্বামীর অসুস্থতার পর থেকেই তার এ সিদ্ধান্ত।
এমন কাজ আগে তিনি করেননি। তাই প্রথম প্রথম দোকানে এসে সব সামলে উঠতে যথেষ্টই হিমশিম খেতে হয়েছে তাকে। তবে পাশে ছিল পরিবারের সকলে। তার বোন, দিদি, বাবা যথাযথ সাহায্য করেছে এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে। বর্তমানে তার স্বামী সজল দাস তাকে যথেষ্টই সাহায্য করেন দোকানে। প্ল্যাটফর্মের ওপরে এ দোকান খুলে যায় সকাল ১০টায়। তারপর সারাদিন ধরে চলে কেনা-বেচা। টোটোন জানান, মূলত: ছাত্র ছাত্রীদের কথা ভেবেই স্বল্প মূল্যে খাবার বিক্রির চিন্তা ভাবনা।
হাতে মোটে ৫০০ টাকা নিয়ে তার এই ব্যবসার শুরু। বর্তমানে তার ব্যবসার উন্নতি ঘটেছে তা বলাই বাহুল্য। আর রইলো এ স্বাদের ঠিকানা। শিয়ালদহ থেকে কল্যাণী সীমান্তগামী ট্রেনে উঠে নামতে হবে কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে। বিপরীতে যারা শান্তিপুর, গেদে বা কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা তাদেরকেও কল্যাণী হয়ে পৌঁছে যেতে হবে ঘোষপাড়া স্টেশনে। সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা’র মধ্যে যে কোনো সময় ঢুঁ মারতে পারেন টোটোন, দির দোকানে। বিকেলের দিকে বেশ ভিড় জমে, তবে খাবারের কমতি হয় না মোটেই।
Discussion about this post