“পাখিদের ওই পাঠশালাতে কোকিল গুরু শেখায় গান।” গানের লাইনের মতো বাস্তবে যদি পাখিদের একখানা করে পাঠশালা থাকতো তবে মন্দ হতো না! কোনো পাখি নিতো অঙ্কের ক্লাস, কেউবা গানের আবার কেউ ইতিহাসের। তবে এসব কল্পনার বাস্তব জীবনে কোনো জায়গা না নেই ঠিকই। কিন্তু একসাথে বহু প্রজাতির পাখিকে এক আকাশের তলায় আনার অভিনব প্রচেষ্টায় সফল হয়েছেন কর্ণাটকের শ্রী গণপতি সচ্চিদানন্দ স্বামী।
কর্ণাটকের মহীশূরের সচিন্দানন্দ স্বামী এক বিশাল পাখিরালয়ের প্রতিষ্ঠা করেছেন। নাম দেওয়া হয়েছে শুক বন। বড় ছোট গাছে ঘেরা বিশাল বড়ো একটি এলাকায় পাখিদের এই পক্ষিশালা। চারিদিক সূক্ষ্ম জালে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। চারিদিকে উড়ে বেরাচ্ছে, খেলে বেরাচ্ছে প্রচুর প্রজাতির টিয়া। শয়ে শয়ে প্রায় বিলুপ্ত এবং দুস্থ পাখিদের এই পাঠশালায় থুড়ি পক্ষিশালায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মজার ব্যাপার এই পাখিরা রীতিমতো স্বামীজি’র সাথে কথা বলে। স্বামীজি পাখিদের নিজের হাতে করে তাদের খাইয়ে দেন।
এটি বিশ্বের সবথেকে অধিক প্রজাতির পাখি রাখার জন্য রেকর্ড করেছে। যদিও বা এখানে এলে কোকিল গুরুকে হয় তো গান শেখাতে দেখা যাবে না। কিন্তু পাখিদের নানা বিধ ডাকে মন অবশ্যই ভরে উঠবে। সবুজে ঘেরা সুখের বনে চারিদিকে উড়ে বেরাচ্ছে রং বেরং এর পাখি। এই দৃশ্য দেখে মন ও চোখের শান্তি একেবারেই নির্ধারিত। মহীশূর এলে পাখিদের এই পাঠশালায় তাই একবার ঘুরে যাওয়া চাই সকলের!
Discussion about this post