আমাদের কলকাতা হল সিটি অফ জয়’। আক্ষরিক অর্থেই ঐতিহ্য, পরম্পরা আর ইতিহাসের মেলবন্ধন। জানবাজারে রাণী রাসমণির বাড়ির পুজোর বয়েস ২০০ বছরেরও বেশি। সাবেকিয়ানার গাম্ভীর্যে এই বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো গুরুত্বই আলাদা। ঐতিহ্য, ইতিহাস আর সাবেকিয়ানার ছোঁয়ায় কলকাতার বারোয়ারি দুর্গা পুজোকে অনায়াসে টেক্কা দিতে পারে এই ‘হাজরা বাড়ির’ জগদ্ধাত্রী পুজো।
আরও পড়ুন যিনি রাঁধেন, তিনি জগদ্ধাত্রীও গড়েন চন্দননগরের বুকে!
বংশ পরম্পরায় প্রজন্মের হাত বদল হয়েছে। তবে নিজেদের ঐতিহ্য আর ইতিহাস থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি হাজরা বাড়ির নবীন প্রজন্ম। কথিত আছে শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব নিজে দাঁড়িয়ে থেকে রাণী রাসমণির বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোর তত্ত্বাবধান করতেন। সেই দিনও আজ নেই, সে সময়ও আজ ইতিহাসের পাতায়।
আরও পড়ুন এই বনেদী বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোয় নিবেদিত হয় মাছ!
ব্রিটিশ লাটসাহেব আর ইংরেজ রাজ কর্মচারীরা রাণী রাসমণির জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়ে রাণীমার কাছে এসে সেলাম ঠুকে যেতেন। স্বাধীন ভারতে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত জানবাজারে এখনও স্বগর্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রাণী রাসমণির বাড়ি। আর সেই বাড়িতেই অর্থাৎ হাজরা বাড়িতে প্রতি বছর ধূমধাম করে মহাসমারোহে উদযাপিত হয়ে থাকে জগদ্ধাত্রী পুজো। আসলে আমার শহর, তোমার শহর পার্বণের মাঝেই আবেগ, আনন্দকে খুঁজে পায়। আর বিভিন্ন উৎসবের অঙ্গনে কলকাতা এভাবেই হয়তো হয়ে ওঠে কল্লোলিনী।
Discussion about this post