উৎসবের রেশ কাটতে চায় না মোটেই। গোটা বছর জুড়ে লেগে থাকে আনন্দ হৈ চৈ। তেমনই নববর্ষ শুরু হতেই চলে এল ঈদের মরসুম। ঈদ কথাটার মানেই হল ‘উৎসব’। আর এ উৎসব বেশ জমিয়ে পালন করা হয় বিভিন্ন মসজিদ প্রাঙ্গণে। ঠিক তেমনই শান্তিপুরের তোপখানা মসজিদ। ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে এ মসজিদ নির্মাণ করা হয়। তৎকালীন ধর্মপরায়ণ ফৌজদারী গাজী মহম্মদ ইয়ার খাঁ এর উদ্যোগে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এ ইমারত উৎসবের প্রাণকেন্দ্র। আকবর বাদশাহের আমলে শান্তিপুরে এক সেনানিবাস স্থাপিত হয়। ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে সৈয়দ মহবুব আলম আসেন শান্তিপুরে। তিনি নাকি ছিলেন আদি পুরুষ।
স্থানীয় সেনা নিবাসের ব্যয়ভার বহন করার জন্য বাদশাহ আলমকে প্রচুর সম্পত্তি দান করেন। আর তার আদেশেই ইয়ার খাঁ মসজিদটি নির্মাণ করান। এই ইমরতটি পুবমুখী। সামনের দিকে ত্রিখিলান প্রবেশপথ। উপরের দেওয়াল গুলোতে আরবি এবং ফারসি হরফে পাশাপাশি নিবন্ধগুলি চোখে পড়ার মতো। এ মসজিদ স্থাপিত ভিত্তি বেদীর ওপর। এই বেদী একটা বিরাট গম্বুজ আর আটটা ছোট বড় মিনারের সমন্বয়ে তৈরি। এই মসজিদ প্রাঙ্গণে গাজী এয়ার মহম্মদ এবং তাঁর পুত্রের সমাধিও আছে। তোপখানা মসজিদ শান্তিপুরের এক প্রাচীনতার সাক্ষী।
রমজান মাসে পালিত এ উৎসব আনন্দকে নতুন করে বয়ে আনে। রোজা পালনের পর মাসের প্রথম দিন পালিত হয় ঈদ। সবার নতুন পোশাক, কুশল বিনিময়ে ঘরে ঘরে ফুটে ওঠে হাসি মুখ। তবে এই ঈদে আপনি আসতেই পারেন শান্তিপুরের তোপখানা মসজিদে। ধর্ম বলতে ভালোবাসা মেনে মন ভরে উপভোগ করতে পারেন ঈদের হাওয়া। বন্দি ফোন স্ক্রিন ছেড়ে এবার নাহয় গলা মিলিয়ে উদযাপন হোক।
চিত্র ঋণ – South Bengal Herald
Discussion about this post