চলছে বইপ্রেমীদের বহু প্রতীক্ষিত উৎসব ৪৬ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। প্রতিদিনই বইপ্রেমীদের ভিড়ে জমজমাট সেন্ট্রাল পার্কের মুক্ত ময়দান। মহামারির প্রকোপ কাটিয়ে এবছর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে বাঙালির বই পুজো। বইমেলা তো শুধু বই কেনা-বেচার মেলাই নয়, বলতে গেলে একেবারে বৈচিত্র্যের মেলা। নানা রকম বইয়ের সম্ভার তো রয়েছেই, তবে বাঙালি কি খাবার ছাড়া কোনো মেলার কথা ভাবতে পারেন! তাই বইয়ের স্বর্গের সঙ্গে সঙ্গে খাবারও একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে উঠেছে এই মেলায়। মেলার ভিন্ন স্বাদের খাবারের মধ্যে ভারতের মুকুট কাশ্মীরের কাহাওয়া চাও স্থান পেয়েছে। ব্যবসার তাগিদেই সেখান থেকে কিছু মানুষ এসেছেন এই মেলায়। শুধু চা নয়, কাশ্মীরের বিশ্ব বিখ্যাত ড্রাই ফ্রুটসের বিকিকিনিও চলছে তাদের হাত ধরেই। চলুন দেখা যাক, তাদের সাথে কথা বলে কী জানা গেল।
শ্রীনগরের বাসিন্দা শাহিদ আহমেদ শেখ। তিনি এবং তার চার পাঁচজন সঙ্গী কাশ্মীরের কাহাওয়া চায়ের সঙ্গে নিয়ে বসেছেন ড্রাই ফ্রুটসের বিশাল সম্ভার। তার কথায়,কাশ্মীরের আবহাওয়া এখন বেশ ঠাণ্ডা, তাই এখানকার বসন্তের ছোঁয়া মাখা পরিবেশে তাদের বেশ আনন্দই লাগছে। এবার আসা যাক এই চা আসলে কী? তিনি জানালেন কাহাওয়া চা শরীরের পক্ষে খুব উপকারী একটি পানীয়। শীতে সর্দি-কাশির হাত থেকে হোক বা করোনার প্রতিরোধী হিসেবে হোক এই চা অত্যন্ত কার্যকরী। কারণ এই চায়ের মধ্যে থাকে এলাচ, দারচিনি ও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। বইমেলায় তারা এই চা বিক্রি করছেন এক কাপ পঞ্চাশ টাকায়। তাছাড়া ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী চা পাতার প্যাকেটও তারা রেখেছেন স্টলে। দু’ভাবেই বেশ ভালো বিক্রিবাটা চলছে তাদের।
তিনি আরও জানান যে গোটা বিশ্বে দু জায়গায় এই চা তৈরি হয় – প্রথমত ইরানে এবং তারপর ভারতের কাশ্মীরে। তাই কাশ্মীরের যেকোনো অনুষ্ঠান শুরু হয় এই চায়ের চুমুকেই। সবশেষে তিনি জানিয়েছেন যে গত বছরের করোনাকালে সেরকম লাভ না হলেও এবছর বিক্রি বাট্টা বেশ ভালোই হচ্ছে। অন্যান্য সময় কলকাতার আরও মেলাগুলিতেও তারা থাকেন তাদের ব্যবসার তাগিদে। তবে এই বইমেলার শেষে তারা আশা রাখছেন বেশ লাভজনকভাবেই তারা ফিরতে পারবেন নিজেদের জায়গায়। তাই বইমেলায় তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়াতে তারাও যথেষ্ট কৃতজ্ঞ আয়োজকদের কাছে। এবছর বইমেলায় বইয়ের পাশাপাশি একবার এই কাহাওয়া চায়ের স্বাদ নিলেও মন্দ হয়না, কী বলেন!
Discussion about this post