অতিমারী লকডাউনের জোড়া ফলায় কলকাতা সহ বাংলার মানুষজন নানাভাবে বিধ্বস্ত। লক্ষ লক্ষ কোভিড কেস, অক্সিজেন ক্রাইসিস, হাসপাতালের বেড নেই। আর এসবের মাঝেই কিছু অসাধু লোকজন নিজের মতো করে রীতিমতো সাধারণ মানুষের টাকা মারছে অক্সিজেন, বেডের অজুহাতে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে +91 7063079934 নম্বরে কল করা হয় হাজরাতে এক বয়স্ক কোভিড রোগীর অক্সিজেন ডেলিভারির জন্য। লোকটিও রাজিও হন এবং ৫০% টাকা অগ্রিম দিতেও বলা হয় টেলিগ্রাম মারফত। উনি যাবতীয় কথা টেলিগ্রামেই করেন। এরপর নানাভাবে ১০০% টাকা, দ্বিগুণ টাকা দিতে হবে বলে ফোন আসে। এমনকি প্রতারক জানায়, টাকা না পেলে দমদম থেকে সিলিন্ডার বেরবে না।

ইতিমধ্যে সেই প্রতারকের তরফে জানান হয় তাঁকে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া টাকা কোনোভাবে সে ফেরৎ দিতে রাজী নয়। স্বাভাবিকভাবেই কলকাতার সচেতন কিছু ছাত্র যুবদের তরফে প্রদীপ্ত-শুভমরা পুলিশে অভিযোগ জানান। পুলিশের পদক্ষেপের আগেই চেনা-পরিচিত সূত্রে হাতে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায় ইতিমধ্যেই একই প্রোফাইল পিকচারে তিনটি বিভিন্ন নম্বরের মাধ্যমে মানুষকে এই দুর্দিনেও টাকা নিয়ে ঠকানোর ব্যবসা চলছে। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর বাংলা, বিহার, দিল্লী এবং উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন লোক এই চক্রে জড়িয়ে জড়িত।

এদিকে এই প্রতারক নম্বরগুলি প্রচুর পরিমাণে শেয়ার হয়েছে এবং অবশ্যই অনেক মানুষ সমস্যাতেও পড়েছে। অন্যদিকে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জী এই পোস্ট শেয়ারের পাশাপাশি তাঁর পেজ থেকে একই নম্বর নিয়ে এরকম ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন। গোটা ঘটনায় কী বলছেন এই সচেতন ছাত্র-যুবদের তরফে সেই প্রদীপ্ত বা শুভম? তাঁরা আবেদন জানিয়েছেন, যে কোনও নম্বর অন্ধের মতো শেয়ার করা বন্ধ হোক। পরবর্তীতে যে কোনো নাম্বার যাচাই করেই যেন মানুষের পাশে দাঁড়াই আমরা। সচেতন থেকে অগ্রিম টাকা দেওয়া বন্ধ হোক।
Discussion about this post