১১ সেপ্টেম্বর দিনটি বাড়ির ক্যালেন্ডারে দাগিয়ে রাখতে পারেন। আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন কারণ সেদিনই দিনের আলো দেখতে চলেছে ‘অপবিত্র পবিত্রবা’। এখন প্রশ্ন হল কী এই ‘অপবিত্র পবিত্রবা’? তাঁর জন্য অপেক্ষা করতে যাবেনই বা কেন? কারণ যদিও বেশ কয়েকটি রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মৌলিক বাংলা সঙ্গীতশিল্পী অর্ণবের পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ এই শর্ট-ফিল্ম কিংবা আরও গুছিয়ে বললে দাঁড়ায় ‘মিউজিক্যাল শর্ট’। এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রটি ফিল্মটি কোথাও গিয়ে বলে দেবে আপনার মনের কথা। কেন? চলুন, দেখে আসা যাক এটির ট্রেলার…
এরপরেও হয়তো আপনার মনে আসন্ন কাজটি নিয়ে থেকে যেতে পারে আরও প্রশ্ন। ‘ডেইলি নিউজ রিল’ অর্ণবের সঙ্গে কথোপকথনে চেষ্টা করল তারই উত্তর খুঁজতে।
প্রশ্নঃ- অর্ণব, আপনি মূলতঃ মৌলিক বাংলা গান গেয়ে থাকেন। সেখান থেকে মিউজিক্যাল শর্ট পরিচালনা, কেন?
আমি যখন কোনও গান লিখি তখন তার ভাবমূর্তির কাঠামো দাঁড়িয়ে থাকে ভিস্যুয়ালাইজেশনের ওপর। আমার দৃষ্টিভঙ্গীতে সেটাকে ফুটিয়ে তোলাটা ভীষণ দরকার। সেই কারণেই ‘মিউজিক্যাল শর্ট’। পুরোটাই আমি মিউজিক ভিডিও হিসেবেও বানাতে পারতাম। তাহলে এটি আসলে কোনওরকমে শর্ট-কাট কাজ হয়ে যেত। এখানে আমি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক স্কোর ব্যবহার করে দৃশ্যগুলোকে আরও ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি।
‘অপবিত্র পবিত্রবা’র স্টোরি লাইন কী হতে চলেছে?
আমাদের সাধারণ মানুষের একটি প্রবৃত্তি চলে এসেছে, কিছু ঘটলেই সঙ্গে সঙ্গে সব দোষ চাপিয়ে দিই প্রশাসনের ঘাড়ে। কিন্তু আমাদের সবার আগে মনে রাখতে হবে আমাদের দেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। একটি দেশে গণতন্ত্র তখনই সফল হতে পারে যখন সেদেশের জনগণ ভাবে যে আমরা কীভাবে আমাদের দেশকে গঠন করব। জনগণ যদি নিষ্ক্রিয় না থেকে দেশের ভাবনায় সক্রিয় হয় তাহলে সরকারও নড়েচড়ে বসবে। শুধু পুঁথিগত বিদ্যাই নয়, চেতনাও যেন শিক্ষার আলো গ্রহণ করে শিক্ষিত হয়ে ধর্মান্ধতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। সেটাই বলতে চেয়েছে ‘অপবিত্র পবিত্রবা’।
সঙ্গীত শিল্পী অর্ণব নাকি একজন পরিচালক অর্ণব? বিশেষত এই কাজটির ক্ষেত্রে আপনি নিজেকে কী হিসেবে বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছেন?
অবশ্যই সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেই রাখব। কারণ পরিচালনা আমি নিজের কাজের ক্ষেত্র বিশেষেই করেছি, অন্য কেউ আমাকে পরিচালক হিসেবে ডাকলে আমি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেব। এই গানটির বেলার স্ক্রিপ্ট আমিই লিখেছিলাম, আমার মাথায় তখন দৃশ্যপট ঘুরছিল। কাজেই নিজের কাজ আমি নিজেই ডিরেক্ট করব, আমার প্রতি বছরেই আমার ইচ্ছে এভাবে ব্যতিক্রমী কাজ উপহার দেওয়া।
কাজটি রিলিজের পর আপনার প্রত্যাশা কি? কেনই বা দর্শকরা দেখবেন ‘অপবিত্র পবিত্রবা’?
আমার বিশেষ প্রত্যাশা নেই। তবে মানুষ কেন দেখবেন? মানুষ এটি নিজের স্বার্থে দেখবেন। তাহলে মানুষ হয়তো নতুন শুরুর প্রেরণা পেতে পারেন। আজকে এই পরিস্থিতিতে খারাপের পাশাপাশি অনেক কিছু ভালোও হয়েছে। কিন্তু এই খারাপ পরিস্থিতি সেশ হলেই আমরা ফের নতুন করে আগের জীবনে ফিরে যাব, পরিবেশ নোংরা করতে শুরু করব। এই যে লকডাউন ভেঙে অনেকে বাইরে বেরিয়ে পুলিশের মার খাচ্ছেন। কেন? তাঁরা অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে কেন বেরবেন? এখানেই আমার প্রশ্ন। জীবন থেকে মানুষকেই আসলে শিক্ষা নিতে হবে। সেই বার্তাই কিন্তু দিতে চাইছে এই মিউজিক্যাল শর্ট।
Discussion about this post