প্রায় ৭ মাসের কাছাকাছি যথেচ্ছ দাপিয়ে বেড়াবার পর অবশেষে খানিকটা বাগে আনা গিয়েছে করোনাকে। ভ্যাকসিন না মিললেও করোনার দশা দাপট কমাতে একাধিক নয়া পন্থা অবলম্বন করছেন বিশেষজ্ঞরা, মিলছে সুফলও। এবার আন্তর্জাতিক এক সায়েন্স জার্নালে উঠে এসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে ইলিশ মাছের তেলে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড করোনা রোগীর আইসিইউ নির্ভরতা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

দেখা গিয়েছে, একই এলাকার দুই ব্যক্তি করোনায় সংক্রামিত হলেও একজনের ঠাঁই হয়েছে আইসিইউ-তে অপরজন দিব্যি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সুস্থ ব্যক্তির শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের আধিক্যের কারণেই করোনা খানিক ক্ষমতা হারিয়েছে। ইলিশ বাদেও এই অ্যাসিডের আধিক্য রয়েছে স্যামন, টুনা, সার্ডিন মাছেও।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চের এপিডেমিওলজি এবং কমিউনিকেবল ডিজিজের প্রধান জানিয়েছেন, হার্টের জন্য ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড অত্যন্ত উপকারী। হৃদযন্ত্র বিকল হওয়া অনেকটাই আটকায় এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই বিশেষজ্ঞরা শরীরে ওমেগা থ্রি বাড়াতে ইলিশ খেতে বলছেন। এদিকে বাজারে ইতিমধ্যেই আকাশছোঁয়া ইলিশের দাম। ইলিশ খেলে করোনা মোকাবিলা না হয় সম্ভব, কিন্তু দীর্ঘদিন লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতির বেহাল অবস্থা মোকাবিলা করা সম্ভব না হলে এবার বোধহয় ইলিশ খাওয়া দিবাস্বপ্নই থেকে যাবে রাজ্যবাসীর কাছে।
Discussion about this post