ছোটবেলায় চাঁদ মামার গল্প শুনে বড় হয়নি এমন খুদে বোধ হয় এই বাংলায় দুর্লভ। আর সেই থেকেই চাঁদের রূপোলী আভায় মূর্ছিত হয়ে কত কিশোরই না স্বপ্ন দেখেছে চাঁদে যাওয়ার। কিন্তু এবার শুধু চাঁদে যাওয়াই নয়, টেন্ডার ডেকে চাঁদের মাটিও কিনতে চায় আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। জমি কিনে চাঁদের খনিজ সম্পদকে বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগাতে ইতিমধ্যেই তোড়জোর শুরু করে দিয়েছে নাসা।
২০২৪ সালে চাঁদের মাটিতে মানুষ নামাতে চায় নাসা। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে আর্তেমিস অভিযান। এই অভিযানের আগেই চাঁদের হালচাল বুঝে নিতে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থাকে ইতিমধ্যেই আহ্বান জানিয়েছেন, নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জিম ব্রাইডেনস্টাইন। এর জন্য ডাকা হয়েছে টেন্ডারও। টেন্ডারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সংস্থাগুলির কাছ থেকে চাঁদের মাটি বা রেগোলিথ কিনবে নাসা। এর ভিত্তিতে, চাঁদ থেকে ৫০ – ৫০০ গ্রাম রেগোলিথ নাসার হাতে তুলে দিতে হবে, এরপর সেই মাটি হবে নাসার সম্পত্তি। পুরো কাজ সফল হওয়া পর্যন্ত ধাপে ধাপে সেই সংস্থাকে দেওয়া হবে টাকা।
চাঁদে জমি কিনে কার্যত ব্যবসারও ফন্দি এঁটে ফেলেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এই কোম্পানিগুলি চাঁদের ধুলো থেকে খনিজ পদার্থের উপস্থিতি সন্ধান করে দিলেই তার ভিত্তিতে চাঁদে খনিজ পদার্থের উৎস সন্ধান করবে নাসা। জানা যায় সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, সালফার, পটাসিয়াম, টাইটানিয়াম, লোহা, নিকেলের মত একাধিক খনিজের আঁতুরঘর চাঁদ। এমনকি বিজ্ঞানীদের ধারণা চাঁদের মাটিতে সোনা,প্ল্যাটিনামের মতো বহু মূল্যবান খনিজেরও উপস্থিতি রয়েছে। এবার সেই খনিজেই চোখ নাসার। যদিও নাসার দাবী, মানবজাতির কল্যাণেই নাকি তাঁদের এই পদক্ষেপ। চাঁদে মাটি কিনে ব্যবসায় সফলতা পেলে, পরবর্তীতে মঙ্গলে যেতেও প্রস্তুত নাসা।
Discussion about this post