ব্যায়াম যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে তেমনি বই পড়ার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের মনকে সুস্থ ও আনন্দিত রাখতে পারি। এই কথাটি বলে গিয়েছেন ৩০০ বছর পূর্বে । আর বর্তমান মডার্ন সায়েন্স গবেষণার দ্বারা এই কথাটির সত্যতা প্রমাণ করেছে। বিল গেটস প্রতিবছর ৫০টি বই শেষ করেন । মার্ক কুবেন প্রতিদিন ৩ ঘন্টার বেশি বই পড়েন। এলন মাস্ক রকেট সায়েন্সের বিদ্যা বই পড়ার মাধ্যমে অর্জন করেছেন। তাই বলা যায় বই মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু। আর কথায় আছে বিদ্যা নাকি যত ভাগ করে নেওয়া যায়, তত বাড়ে। এই ভাবনাকে বাস্তবায়নে উদ্যোগী আমাদেরই এক বঙ্গ তনয়া পাপিয়া কর।
করোনা পরিস্থিতিতে বেশ কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনার ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। অনেকের আবার পাঠ্যপুস্তক কিংবা সহায়ক পুস্তক কেনার সামর্থ্য ছিল না। এই পরিস্থিতিতে পাপিয়া র এমন উদ্যোগ নতুন আলোক দিশারী। ২০১৯ সালে নিজের বাড়িতেই তিনি গ্রন্থাগারের সূচনা করেন। এটির নাম রাখেন ননীবালা মুক্ত গ্রন্থাগার। প্রথম দিকে নিজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই কাজের সূচনা করেন। পরবর্তীতে সুখের চাদর ও ক্যালকাটা ফুডিস ক্লাব নামক দুটি সংস্থা সাহায্য করে। বর্তমানে প্রায় ১৩০জন ছাত্রছাত্রী এই গ্রন্থাগারের সাথে যুক্ত। তারা বিনামূল্যে তাদের প্রয়োজনীয় বই নিয়ে পড়াশোনা করে। গ্রন্থাগারে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর উপোযোগী বই রাখা হয়েছে।
পাপিয়া কর এর কথায় শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে এই গ্রন্থাগারের উদ্যোগ। যেকোনো পরিস্থিতিতে বিদ্যার্থীদের বই দেওয়াই একমাত্র উদ্দেশ্য। তার কথায় ছেলেমেয়েরা পরীক্ষার রেজাল্টের পর যখন প্রনাম জানিয়ে ননীবালা মুক্ত গ্রন্থাগারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায় তার চেয়ে বড় পাওনা আর কিছু নেই। এই মহৎ উদ্দেশ্যকে অনুপ্রেরণার রূপ দিয়েছেন আমাদের পাপিয়া কর।
Discussion about this post