‘রসগোল্লার রসে শুরু বাঙালির মোচ্ছব’- খাদ্যরসিক বাঙালিদের কাছে বরাবরই ঝালের চেয়ে প্রিয় মিষ্টি। আর তা যদি হয় রসগোল্লা তাহলে তো স্পিকটি নট! সে চিনির রসে তৈরি সাদা রঙের হোক বা গুড়ের রসের লালচে রসগোল্লা- মুখে পড়লে একটাই শব্দ ‘আহা’! তবে শীতকাল এলেই মিষ্টির দোকানে দাড়িয়ে মনটা নলেন গুড়ের রসগোল্লার দিকে চলে না গেলে আপনি মশাই শীতের মোহই বোঝেন না। এই আপামর বাঙালি প্রতি বছর শীতে অপেক্ষা করে থাকেন নলেন গুড়ের রসগোল্লার এই স্বর্গীয় স্বাদের জন্যই। এই স্বাদ নিতে বহুদূর থেকেও মানুষ কলকাতায় আসেন শীতকালে। তবে কিনে খাওয়া রসগোল্লার স্বাদ তো আমাদের প্রায় সবারই পরিচিত, যদি বাড়িতে বানানো যায় দোকানের মতো নলেন গুড়ের রসগোল্লা তাহলে কেমন হয়! চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে নেওয়া যাক পুরো রেসিপিটা।
প্রথমেই উপকরণ হিসেবে লাগবে- ১/২ লিটার ঘন দুধ, ১/৪ কাপ লেবুর রস, ১ কাপ চিনি, ১/২ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো এবং গুড়ের রস তৈরির জন্য চাই ১ কাপ নলেন গুড় ও ৫/৬ কাপ জল। রসগোল্লা বানানোর জন্য প্রথমে দুধটিকে ফুটিয়ে তার মধ্যে লেবুর রসের সাহায্যে ছানা কেটে নিন। এরপর সেই ছানা ঠান্ডা জলে ধুয়ে নেওয়া দরকার যাতে লেবুর টকভাব না থাকে। এবার ছানাটি একটি পরিষ্কার কাপড়ে মুড়ে আধঘন্টা মতো ঝুলিয়ে রেখে দিন যাতে ছানার জল ভালোভাবে ঝড়ে যায়। এবার একটি থালায় জলঝরা ছানা, এলাচ গুঁড়ো ও চিনি নিয়ে ভালো করে ঠেসে নিন নরম না হওয়া পর্যন্ত। ছানার মন্ড থেকে গোল গোল রসগোল্লার আকারে বল বানিয়ে রাখুন। তবে খেয়াল রাখবেন বলে যেন কোনো ফাটল না থাকে। এবার ওভেনে একটা বড় পাত্রে জল ও পরিমাণ মত নলেন গুড় দিয়ে হাই ফ্লেমে তা ফুটিয়ে তৈরি করে নিন রস। রস ফুটে উঠলেই ছানার বল গুলো দিয়ে ১৫ মিনিট হাই ফ্লেমে চাপিয়ে রাখুন। তারপর আঁচ কমিয়ে আরও ৪০ মিনিট ঢাকা দিয়ে ওইভাবেই রেখে দিন। এবার গ্যাস বন্ধ করে পাত্রটি তিন থেকে চার ঘণ্টা নাড়াচাড়া না করে রেখে দিলেই তৈরি নলেন গুড়ের রসগোল্লা।
ভাবছেন খেতে কেমন হবে? ঠিকঠাক তৈরি হবে কিনা? নিশ্চয়ই হবে। নিজে হাতে সুস্বাদু নলেন গুড়ের পিঠেপুলি ও পায়েসের পাশাপাশি রসগোল্লাও বনিয়ে ফেলুন। বাড়ির লোকেদের তাক লাগিয়ে দিন এই শীতে।
চিত্র ঋণ – Rumki’s Golden Spoon
Discussion about this post