মিউজিয়াম মানেই কি বোরিং কিছু? নথি আর পুরনো ব্যবহার করা জিনিস বা পোশাকের সম্ভার! না, একেবারেই নয়। বরং খোঁজ মিলেছে এক অদ্ভুত মিউজিয়ামের। একটু কল্পনা করে দেখুন তো আপনার শরীরের ভেতরে যদি ঘুরতে যেতে পারেন, তাহলে কেমন লাগে! আসলে এ কল্পনায় যতটা উত্তেজনা হয় তার চেয়ে ঢের বেশি উত্তেজনা তুলে রেখেছে ‘কর্পাস’ মিউজিয়াম।
‘কর্পাস’ কথার অর্থ দেহ। আর এই মিউজিয়াম তৈরি হয়েছে একেবারে মানবদেহর ভেতরের আদলে। তবে এ মিউজিয়াম রয়েছে সুদূর নেদারল্যান্ডের লেইডেন স্ট্রিটে। এর প্রবেশ পথে পা রাখলেই জুটবে চমক। গোটা মিউজিয়ামটি ১১৫ লম্বা এক মানুষের দেহের আদল। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আপনি দেখতে পাবেন বিশাল আকারের ওই মানুষটির অর্ধেক দেহ হাঁটু মুড়ে বসে আছে। আর যে অংশটা দেখা যাচ্ছে না সেটার ভেতরেই যত রহস্য।
বিশ্বের প্রথম মানবদেহ মিউজিয়ামটি ঘুরতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। আর এই যাত্রা শুরু হয় পা থেকে হাঁটু অবধি যাওয়া দিয়ে। পা থেকে হাঁটু অবধি ওঠার জন্য রয়েছে এসকেলেটরের ব্যবস্থা। দর্শনার্থীরা সেখানে পৌঁছলেই দেখতে পাবে একটি ক্ষত। তার থেকে একটু ওপরে গেলেই দেখা মিলবে একটি স্পার্ম এবং একটি এই-এর মিলন। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে ফার্টিলাইজেশন। আরও গেলে দেখা মিলবে অন্ত্রের। একটি স্যান্ডউইচ হজমের গোটা প্রক্রিয়াটা দেখতে পাবেন নিজের চোখে।
এছাড়াও পৌঁছে যাওয়া যায় মানুষের হৃদয় থেকে মাথা অবধি। নিলয়ের প্রকোষ্ঠগুলি একেবারে স্পষ্ট। অনুভব করতে পারবেন বিভিন্ন নার্ভ তথা স্নায়ুর ছন্দ। এরপর এগিয়ে গিয়ে জিভ। এটা বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত স্থান। ক্রমাগত স্পিকারে চলতে থাকে ঢেকুর তোলার আওয়াজ। বাচ্চারা গিয়ে খেলতেও পারে জিভের ওপর। শুধু এখানেই শেষ নয়, একেবারে ওপরতলায় রয়েছে ক্যাফে। সেখানে গেলেই বোঝা যায় বিশাল ওই মানুষটি কেমন ভাবে অবস্থিত। মজার ছলে হলেও অ্যানাটমি বোঝার ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে এই বিখ্যাত ‘কর্পাস’ মিউজিয়ামের।
চিত্র ও তথ্য ঋণ – Atlas Obscura
Discussion about this post